ভারতে মুসলমান নিবন্ধন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৯ ভোট দিয়ে বেরিয়ে আঙুলে কালির দাগ দেখাচ্ছেন এক নারী ভোটার, ছবি: আল জাজিরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের নাগরিকত্ব নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাডভাইজরি বোর্ডের প্রধান টনি পারকিনস। কয়েক লাখ লোককে, যাদের অধিকাংশই মুসলমান, নাগরিকত্বহীন করে দেয়ার আতঙ্কের মধ্যেই মঙ্গলবার এমন উদ্বেগ জানানো হয়েছে।-খবর এএফপির যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশনের প্রধান টনি পারকিনস বলেন, ধর্মীয় বহুত্ববাদিতার ওপর ভিত্তি করেই ভারতীয় সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন এই কমিশনের কেবল সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকলেও কোনো নীতিনির্ধারণ করতে পারে না। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যাই হোক আসামে জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধনের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়ে গেছে। ফলে নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় প্রয়োজনের সূচনা হতে হবে, যা ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার আদর্শের বিপরীত। ১৯৭১ সালের আগে দাদা ও বাবা-মা সেখানে বসবাস করতেন, তা প্রমাণে অসমীয়াদের চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের আগে দেশটি থেকে উইপোকাদের ছুড়ে ফেলার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডানহাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখন তিনি দেশজুড়ে আসামের মতো অভিযান পরিচালনা ও অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন। আরেকটি উদ্যোগে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অন্তত ছয় বছর আগে যাওয়া কেউ যদি মুসলমান না হন, তবে তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার আইন পাস হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল খ্রিস্টান গোষ্ঠী পরিবার গবেষণা কাউন্সিলেরও সভাপতি পারকিনস। এই গোষ্ঠীটি সমকামিতার বিরোধিতা করার জন্য বিখ্যাত। পারকিনসের এই উদ্বেগ প্রকাশের বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাটিক স্পিকার ন্যানসি পেলোসির মনোনয়ন দেয়া কমিশন সদস্য অনুরিমা ভারগাভাও যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে যেকোনো পদক্ষেপে এই কমিশন অস্বস্তি বোধ করে। কাজেই আসামের ওই নাগরিকত্ব নিবন্ধন অবশ্যই সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রহীন করে দেয়া ও তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর মাধ্যম হতে পারবে না। ক্রমাগত মিত্র হতে যাওয়া ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা বিরল। সম্প্রতি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার ঘটনায় খুবই সতর্ক বিবৃতি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: