কাশ্মীর প্রশ্নের ‘জবাব’ নিয়ে জি-৭ বৈঠকে মোদি

প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯

কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কের ভেতর জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ফ্রান্সে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজার বলছে, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কাশ্মীর বিষয়ক প্রশ্ন সামলাতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী বাংলা দৈনিকটি লিখেছে, ‘বৈঠকে ঘুরেফিরে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আলোচনাই প্রাধান্য পেতে চলেছে।’

জি-৭-এর বৈঠকের ফাঁকে রবিবার রাতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক হয় মোদির। জনসনের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠক হবে মোদির। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও নৈশভোজে কথা হবে তার।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পাঁচবার জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিলেও এই গোষ্ঠীর বৈঠকে এই প্রথমবার আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকছেন মোদি। রাশিয়াকে বাদ দেওয়ায় জি-৮ এখন পরিণত হয়েছে জি-৭-এ। কিন্তু পশ্চিমের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এর গুরুত্ব প্রায় একই রয়েছে।

বৈঠকে বসার আগেই ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি বিশেষ ভাবে উৎসুক। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি যে মধ্যস্থতাতেও উৎসাহী, তা গত দু’সপ্তাহে বার তিনেক বলেছেন ট্রাম্প।

সোমবার ভারত-মার্কিন বৈঠকের আগে এক মার্কিন কর্মকর্তা সেই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ‘আমেরিকা কাশ্মীরের দিকে নজর রাখছে। বিষয়টি নিয়ে শান্তি বজায় রাখতে এবং কোনও প্ররোচনামূলক কথা না বলার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিতও দিয়েছেন, তিনি গোটা অঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি কমাতে মধ্যস্থতা করতে রাজি।’

‘আঞ্চলিক সংঘাত কমানোর জন্য মোদির কী পরিকল্পনা রয়েছে, সেটা ট্রাম্প জানতে চাইবেন। কাশ্মীরে মানবাধিকারের বিষয়টি যাতে অগ্রাধিকার পায়, সেই ব্যাপারে ভারত সরকারের ভাবনাচিন্তাও শুনতে চাইবেন।’

Comments