এখনই জাকির নায়েককে ভারতে পাঠাবে না মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ জাকির নায়েকে ফেরত না পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, এখনও পর্যন্ত আমি আমার অবস্থান বদলাইনি। জাকির নায়েককে তার দেশে ফেরত পাঠানো হবে কীনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এমন মন্তব্য করেন মাহাথির মোহাম্মদ।

ভারতের ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের মালয়েশিয়ায় সভা-সমাবেশে ওপর প্রথমে বক্তৃতা নিষিদ্ধ করা ।এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ায় বেশ বিপাকে রয়েছেন ভারতীয় ধর্ম প্রচারক ও বক্তা জাকির নায়েক। ইতোমধ্যেই দেশটির সব প্রদেশে তার ধর্মীয় বক্তব্য প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্রায় তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। সেখানে তাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের বক্তব্যের কারণে তাকে মালয়েশিয়া থেকে ভারতের ফেরত পাঠানোর দাবি উঠেছে। খবর স্ট্রেইট টাইমস।

অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত এবং জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন বলে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জাকির নায়েক সম্প্রতি এক ধর্মীয় বক্তৃতায় বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করে। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ মুসলিম বাদে বাকি ৪০ শতাংশ মানুষের অধিকাংশই চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এছাড়াও তিনি বলেন, সেখানকার চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।

সংখ্যালঘুদের নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাকির নায়েক। তবে তিনি দাবি করেছেন যে, তার বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। জাকির নায়েক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি মোটেও বর্ণবাদী নন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, তার সমালোচকরা তার বক্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছেন এবং তার বক্তব্যে মনগড়া কথা যোগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদিও আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। কিন্তু তবুও আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না।

এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মালয়েশিয়ার ফেডারেল পুলিশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর কুয়ালামপুরে ফেডারেল পুলিশ সদর দফতরে তাকে তৃতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

Comments