কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের প্রস্তাব, রাজ্যসভায় হট্টগোল

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৯

কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’, যা ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ পরিচ্ছেদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে তা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর মাধ্যমে কার্যত নতুন করে কাশ্মীরের ইতিহাস রচনার পথে মোদি সরকার।

আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় ভাষণ শুরু করেন তিনি। তার প্রস্তাব রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল জুড়ে দেন। কয়েক মিনিটের জন্য মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী দলের পার্লামেন্ট সদস্যরা। তাদের দাবি, ৩৭০ ধারা তুলে দিলে বিশেষ সুবিধা হারাবে কাশ্মীর।

রাজ্যসভায় ভাষণ শেষে লোকসভায় ভাষণ দেবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

জিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশাসন। গোটা রাজ্যে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইতিমধ্যেই নিজের বাসভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিগগিরই সংসদে বিবৃতি রাখতে চলেছে অমিত শাহ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছে? এর পর কাশ্মীর ইস্যুতে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হতে পারে? এসবই সংসদে খোলসা করতে পারেন অমিত শাহ। তবে এটা নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা, উদ্বেগ।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা জানতে উদ্বেল গোটা রাজ্য।

এর আগে গত রোববার কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। থমথমে জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। অভিনেতা অনুপম খের জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি নিয়ে টুইটে লিখেছেন, ‘শুরু হলো কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া।’ তবে অনুপম খেরের মতামত যা-ই হোক না কেন, ঠিক কেন রাজ্যে এই তোড়জোড়, এই চূড়ান্ত তৎপরতা— তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এদিকে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষনেতা গৃহবন্দী রয়েছেন। গ্রেপ্তারও হয়েছেন কেউ কেউ। উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই জের ধরে উপত্যকায় কী হতে চলেছে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটল আজ।

Comments