ছেলের উপহার পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন বাবা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯ ডেস্ক: দুই বছর আগে নিজের পুরনো ট্রাকটি ভেঙে যাবার পর থেকে কষ্টে ছিলেন লিস্টার। বিভিন্ন ধরনের খুচরা কাজ করেই চলছিল তার জীবন। কাজে যাওয়া-আসার জন্য স্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে হতো তাকে। কিন্তু ছেলের দেওয়া উপহারে আবারও যেন প্রাণ ফিরে পেলেন লিস্টার, ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে উঠলেন হাউমাউ করে। সম্প্রতি এমনই এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য অ্যালাবামাতে। জানা গেছে, বাবার ট্রাকটি ভেঙের যাবার পর থেকে বাবার কষ্ট দেখে বেশ খারাপ লাগতো ২৫ বছর বয়সী দিয়ান্তে টমাসের। এ কারণে বাবাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চিন্তা করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টা খুব সহজ ছিল না তার জন্য। মিসেৌরি বসবাসরত দিয়ান্তে একজন ইনডোর ফুটবল খেলোয়াড়। প্রতি খেলার জন্য তিনি ২০০ ডলার করে টাকা পান। এই টাকা দিয়েই নিজের খরচ চালান তিনি। বাবাকে নতুন ট্রাক কিনে দেওয়ার উদ্দেশে গত দুই বছর ধরে নিজের আয়ের বেশি অংশই জমিয়ে রাখছিলেন তিনি। পরিবারের অজ্ঞাতে অবশেষে বাবার জন্য নতুন একটা ট্রাক কিনতে সক্ষম হন। দিয়ান্তে জানান, নতুন ট্রাক দেখে তার বাবা যে পরিমাণ খুশী হয়েছেন তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। নতুন ট্রাক দেখে বাবার প্রতিক্রিয়ার ঘটনাটি দিয়ান্তের মা ভিডিও করেছেন । পরবর্তীতে যা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিয়েছেন তিনি। দিয়ান্তে বলেন, ‘ সারপ্রাইজ দিতে বাবার চোখ বেঁধে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসি। চোখ খুলে ট্রাক দেখে বাবা জানতে চান সেটা আমার কিনা। কিন্তু আমি যখন জানাই ওটা তার (বাবার) ট্রাক তিনি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। পরে খুশীতে লাফ দিয়ে আমাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন’। আশপাশের জড়ো হওয়া লোকজনও আনন্দে করতালি দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করেন। দিয়ান্তে জানান, বাবা তার জীবনের অনেকাংশ জড়িয়ে আছেন। তিনি তাকে ভাল-মন্দের জ্ঞান দিয়েছেন। একজন সত্যিকারের মানুষ হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। দিয়ান্তে বলেন, ‘ প্রত্যেকেরই একজন বাবা ও একজনই মা থাকেন। এ কারণে আমি চেষ্টা করি সবসময় তাদেরকে খুশী রাখতে’। বাবার খুশী নিয়ে দিয়ান্তে বলেন, ‘একজন পুরুষের কান্না দেখা কঠিন। কিন্তু বাবাকে খুশী করতে পেরে ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ’। সূত্র : মেইল অনলাইন, মিরর Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: