সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: বিএসএফ মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯

ডেস্ক:  সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বলে মন্তব্য করেছেন ফোর্সের মহাপরিচালক শ্রী রজনী কান্ত মিশ্রা।

আজ শনিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় প্রথমে উঠে আসে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সীমান্ত এলাকায় অন্তত ১৫ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন, বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে বিএসএফ, এ জন্য এখন আমাদের পক্ষ থেকে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে না। তবুও মাঝে-মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুই-একটি ঘটনা ঘটে থাকে, যা খুবই সামান্য।

গত মে মাসে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনে এক বাংলদেশি যুবক নিহতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ ডিজি বলেন, সীমান্তে নিহতের ঘটনা কখনওই হত্যাকাণ্ড নয়, এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। আমরা সবসময়ই জীবনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি, এ জন্য আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর পরেও মাঝে-মধ্যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়, যা খুবই সামান্য থেকে সামান্যতম।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। সীমান্তের যেসব এলাকায় গবাদি পশু ও মাদক চোরাচালান হয়ে থাকে সেসব স্থানে সমন্বিত যৌথ টহল পরিচালনাসহ যৌথ কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত এলকায় বসবাসরতদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সীমান্তে নিহতের ঘটনা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছি।

এবারের সম্মেলনে উভয়পক্ষ সীমান্তে নতুন ক্রাইম ফ্রি জোন চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করে কুমিল্লা এলাকায় দ্বিতীয় ক্রাইম ফ্রি জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এমএম/

Comments