মিয়ানমারের ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা চায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিকভাবে সমন্বিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি)। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ, বিক্রি ও আদান-প্রদান এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে এসব আহ্বান জানানো হয়।

রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আনা প্রস্তাবটি ৫৪৬-১২ ভোটে পাশ হয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ৯৪ জন আইনপ্রণেতা।

ইপির সর্বশেষ প্রস্তাবে মিয়ানমারে স্বীকৃত ১৩৫ বৈধ নৃ-গোষ্ঠীর মতো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ববর্তী ও সাম্প্রতিক সব ঘটনার কঠোর নিন্দা জানানো হয়।

নতুন এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও এখনো প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমার নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করেনি।

Comments