কাশ্মীরিদের পক্ষে টুইট করায় শেহলার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯

ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্যাতনে কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হচ্ছে বলে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কাশ্মীরের রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে একাধিক টুইট করেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সাবেক এই শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতেই তার বিরুদ্ধেই দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। ‘ইন্ডিয়া টুডে’

রাষ্ট্রদ্রোহিতা, দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ , ১৫৩, ১৫৩-এ, ৫০৪ এবং ৫০৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে খেয়ালখুশি মতো বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বাসিন্দাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে তথ্য প্রকাশ করেন শেহলা রশিদ। তবে শেহলার এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, শেহলার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে এ ধরনের অভিযোগ তোলা শত্রুশক্তি বা সংগঠনের কাজ।

এ নিয়ে সমাজকর্মী শেহলা বলেন, সেনা কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করলেই আমি তাদের হাতে প্রমাণ তুলে দেব। আমি এ কথা বলার পরও সেনা তদন্ত শুরু করেছে? তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, পুরোটাই কাশ্মীর থেকে আসা লোকসজনের বিশ্বাসযোগ্য কথোপকথনের ভিত্তিতে। মিথ্যা বলার কোনো প্রশ্নই নেই। আমি একটা নয় অনেকগুলো অভিযোগ তুলেছি। কাশ্মীরের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না, রান্না করতে পারছেন না।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যদা বাতিল করে ভারতের মোদী সরকার। এর ফলে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে যাতে কাশ্মীরে কোনো বিক্ষোভ আন্দোলন না হয় তাই কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা সহ সকল ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও কাশ্মীরের একাধিক নেতা কর্মীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

Comments