মুসলিম হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফের প্রত্যাবর্তন : পুরোহিত কাণ্ডে বিতর্ক কর্ণাটকে নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২২ ডেস্ক রিপোর্ট : তিনি যে মুসলমান হতে চেয়েছিলেন তা এলাকার অনেকেই জানতেন। সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল পারিবারিক অশান্তি। নিয়ম মতো সংবাদপত্রে ধর্ম পরিবর্তনের বিজ্ঞাপনও দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই ভাবনা থেকে পিছিয়ে এলেন বৃদ্ধ হিন্দু পুরোহিত। কর্ণাটকের (Karnataka) এই ঘটনা এখন খবরে। বৃদ্ধের কাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনা কর্নাটকের তুমাকুরুর। বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের জায়গাটিতে রয়েছে ওঙ্কারেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান পুরহিত ষাটোর্ধ্ব এইচআর চন্দ্রশেখরাইয়া। সেই তিনিই কিনা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। শুধু সিদ্ধান্তই নয়, শুক্রবার খবরে কাগজে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেন। সেখানেই উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এমনকী তাঁর নতুন নাম হয়েছে মুবারক পাশা, তাও জানান। এই ঘটনায় এলাকায় গোলমাল বাঁধে। বিশেষ করে ফেজ টুপি পরে মুবারক পাশা ওরফে এইচআর চন্দ্রশেখরাইয়ার মসজিদে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় অশান্তি শুরু হয়। তখনই জানা যায়, বৃদ্ধ পুরোহিতের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে সাংঘাতিক পারিবারিক বিবাদ। ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কে হবেন তা নিয়ে ভাই-ভাইয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন চন্দ্রশেখরাইয়া। কিন্তু মুবারক পাশার মসজিদে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে বৃদ্ধের বাড়িতে উপস্থিত হন এলাকার বিশিষ্টজনেরা। এমনকী শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সোগাদু শিবান্না। গেরুয়া নেতার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতার পর এইচআর চন্দ্রশেখরাইয়া বলেন, “মুসলমানদের শেষকৃত্যের পদ্ধতি আমার ভাল লাগে। হ্যাঁ, আমি মুসলমান হতে চেয়েছিলাম। তবে ধর্মান্তরিত হইনি।” তাহলে ফেজ টুপি পরা মসজিদের ছবি? বৃদ্ধ পুরোহিত জানিয়েছেন, সে একবার মসজিদ উদ্বোধনে গিয়েছিলেন, তখনকার ছবি। শুদ্ধিকরণের পর ব্রাহ্মণ হবেন বলেও জানিয়েছেন এইচআর চন্দ্রশেখরাইয়া। বলেন, ‘‘আমি হিন্দু ছিলাম, হিন্দুই আছি।’’ যদিও মাঝখানে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে! প্রয়োজন হচ্ছে শুদ্ধিকরণেরও! সূত্র : দৈনিক ‘সংবাদ প্রতিদিন ভারত’ /আন্তর্জাতিকডেস্ক/একুশনিউজ/ Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: কর্ণাটকভারত