যে শহরে মসজিদ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার শহর আকসুম। এই শহরের ৭৩ হাজার অধিবাসীর ১০ শতাংশ মুসলিম। আর ৮৫ ভাগ হলো অর্থোডক্স খ্রিস্টান। আর পাঁচ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মের অন্য ধারার অনুসারী।

এই শহরে মসজিদ নিষিদ্ধ। একদল মুসলিম এখন এই শহরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।

কিন্তু সেটা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছেন, এর চেয়ে বরং মৃত্যুই তাদের কাছ শ্রেয়।

বিবিসি বাংলা জানায়, মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণের এ তৎপরতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে সেখানকার অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা।

জ্যেষ্ঠ খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতা গডেফা মেরহা বলেন, “আকসুম আমাদের মক্কা। আকসুম একটি পবিত্র স্থান। সিটি অব মনেস্ট্রি।”

তিনি বলেন, “এখানে কেউ যদি মসজিদ নির্মাণ করতে আসেন, তাহলে আমরা মরব। কখনোই এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের জীবদ্দশায় এটা আমরা অনুমোদন করব না।”

এখানকার খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোতে যেমন গির্জা নিষিদ্ধ, তেমনই আকসুমেও কোনো মসজিদ থাকতে পারে না।

এরপরও ‘জাস্টিস ফর আকসুম মুসলিম’ ব্যানার নিয়ে একদল মুসলিম ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বলছেন, মসজিদ নির্মাণ ও প্রার্থনার সুযোগ পাওয়া তাদের অধিকার।

ধর্ম দুটির অনুসারীদের মতে, ইসলামের সূচনালগ্নে মক্কায় অমুসলিম শাসকদের অত্যাচারে পালিয়ে প্রথম মুসলিমরা এসেছিল এই শহরে। তখনকার খ্রিস্টান রাজা তখন তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন।

মূলত আরব উপত্যকার বাইরে এটাই ছিলো মুসলিমদের প্রথম কোনো উপস্থিতি।

শহরের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী আব্দু মোহাম্মেদ আলী বলেন, “আমাদের ১৩টি অস্থায়ী মসজিদ আছে। শুক্রবারে আমরা যদি মাইক ব্যবহার করি, তাহলে তারা বলে যে আমরা সেন্ট ম্যারিকে অসম্মান করছি।”

চিকিৎসক আজিজ মোহাম্মেদ বলেন, “এখানে আমরা মুসলিম ও খ্রিস্টানরা একসাথেই বাস করি। খ্রিস্টানরা বাধা দেয় না, কিন্তু বহু বছর ধরেই আমরা রাস্তায় প্রার্থনা করছি। আমাদের একটি মসজিদ দরকার।”

Comments