আজ দিল্লির মসনদে বসছেন মোদি, শপথ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৯

ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। আজ সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করা হয়েছে শপথ অনুষ্ঠানের। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এনডিটিভি।

গত ২৩ মে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের চ‚ড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। ৫৪৩ আসনের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করে। এনডিএ জোট ৩৫২ আসনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। আজ শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমন্ত্রণ পাননি।

শপথ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একক বড় অনুষ্ঠানের নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের চত্বরে এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৬ হাজার অতিথি যোগ দেবেন বলে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের অতিথি তালিকায় বিমসটেক দেশগুলো ছাড়াও রয়েছেন কিরগিজস্তান ও মরিশাসের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ক‚টনীতিক, মুখ্যমন্ত্রী, অ্যাকাডেমিক, লেখক, তারকা, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্রব্যক্তিত্বরাও। তবে গতবারের তালিকা থেকে এবার থাকছেন না পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সোরোনবে জিনবেকভ, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী গ্রিসাদা বুনরাচ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৫০ বিজেপি কর্মীর পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের দেওয়া হয়েছে ‘বিশেষ অতিথি’র মর্যাদা। শুধু তাই নয়, তাদের দিল্লিতে থাকাসহ অন্য সব ব্যবস্থারও দায়িত্বও নিয়েছে বিজেপি। ওই ৫০ জন নেতা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকে বিজেপি।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে এনডিএ জোট সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য চ‚ড়ান্ত করতে মঙ্গলবার দীর্ঘ বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও মোদি। মোদির বাসভবনে পাঁচ ঘণ্টার এই বৈঠকে নতুন মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্যদের বিষয়ে আলাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বৈঠকে আলোচনায় স্থান পাওয়া বেশ কয়েকজন নেতার কথা জানিয়েছে, যারা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন।

নতুন মন্ত্রিসভায় অমিত শাহের যুক্ত হওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতাদের একাংশের ধারণা, দ্বিতীয় মেয়াদে দল এবং জোটের বিজয় নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন অমিত শাহ। তবে দলের আরেক অংশ বলছে, এখনই দলের দায়িত্ব ছাড়া উচিত হবে না তার। তবে ৩০ মের পর নতুন সরকারে বা দলে নিজের ভ‚মিকা কী হবে তা নিয়ে মুখ খোলেননি অমিত।

নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতিসহ বিভিন্ন নেতাদের কাছে মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য নেতাদের তালিকা চেয়ে পাঠান অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশ্যা, তেলেঙ্গানার মতো যেসব রাজ্যে বিজেপির নতুন উত্থান ঘটেছে সেসব রাজ্যে মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী বিজেপি। জোটভুক্ত পার্লামেন্টারি দলের বৈঠকে শিবসেনা, জেডিইউ, এলজেপি, আকালি দল ও এআইএডিএমকে দলকে সম্মানজনক অবস্থানে রাখার প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়েছে।

এসকে/

Comments