শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা আমি তাদের মুসলিমই বলবো না: লঙ্কান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০১৯ ডেস্ক: ‘হামলাকারীরা দেশের সিংহভাগ মুসলিমের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমি তাদের মুসলিমই বলবো না। এদেশের সাধারণ মুসলিমরা অত্যন্ত সজ্জন এবং অন্য সব সম্প্রদায়ের সাথে তারা সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করেন’। শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় সাধারণ মুসলমানরা আতঙ্কিত বা হুমকির মুখে কিনা এমন প্রশ্নে এসব কথা বলেছেন দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। তিনি বলেছেন, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী। তাদের কারণে সাধারণ মুসলমানরা দায়ী হবেন না। এরা সব মুসলমানের প্রতিনিধিত্ব করে না। সাধারণ মুসলাম সম্প্রদায়ের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে রোববারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সাথে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে)নামে একটি জঙ্গি ইসলামী গোষ্ঠীর নাম আসার পর শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা নূতন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। অনেকেই তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কলম্বোতে মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল শুরা কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তা আজমান আব্দুল্লাহ টেলিফোনে ব্রিটেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেন, আতঙ্কের চেয়ে মুসলিমরা ‘ক্ষুব্ধ, ব্যথিত’। তিনি বলেন, ‘আতঙ্ক যে একবারেই নেই তা বলবো না, নানা ধরণের গুজব শোনা যাচ্ছে, তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের খ্রিষ্টান ভাইয়েরা বুঝতে পারছেন যে শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা কোনোভাবেই তাদের ক্ষতি চায় না’। তিনি আরো বলেন, ‘আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে সব সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন। কোনো সমস্যা নেই। তবে শুধু মুসলমান হিসাবে নয়, এদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমি উদ্বিগ্ন। এদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন’। শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস এমনিতেই খুব ভালো না। গত বছর ক্যান্ডি এবং আশপাশের বেশ কিছু শহরে মসজিদ এবং মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কট্টর বৌদ্ধদের হামলার পর সাময়িক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিলো। ফলে রোববারের হামলার সাথে মুসলিম একটি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের কথা প্রকাশ হওয়ার পর স্বভাবতই অনেক মুসলিম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। এব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে মুসলমানদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো এ কথা বলেন। /আরএ Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: