কাশ্মীরের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারে সম্মান জানানোর অনুরোধে ভারতের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০১৯
ভারী তুষারপাতের মধ্যে সতর্ক পাহারায় থাকা এক ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু-কাশ্মীর, ভারত। ছবি: এএফপি

মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি রিপোর্টের বরাত দিয়ে কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সম্মান জানাতে ভারতকে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর)।

তবে হাই কমিশনের রিপোর্টকে সোমবার মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দেশটির কূটনীতিকরা এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন ভারতকে বলে, কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সম্মান করতে। আন্তর্জাতিক আইনে প্রত্যেকের মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে। সেই আইন মেনে চলতে। জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। অথচ দোষীদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র রবীশ কুমার এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ইউএনএইচসিআর সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দিচ্ছে। তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধী।

অভিযোগ করা হয়, পাকিস্তান মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে আদৌ স্বীকারই করা হয়নি। বছরের পর বছর সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। তাতে কত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তার কোনো হিসাবই নেই ওই রিপোর্টে। বরং খুব পরিকল্পিতভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্রের সঙ্গে এমন একটি দেশের তুলনা করা হচ্ছে যে দেশ সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়।

ভারতীয় পক্ষ আরও জানান, পুরো জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তথাকথিত আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বালটিস্তানও ভারতের অংশ। পাকিস্তানকে বহুবার ওইসব এলাকা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই সব মিথ্যা রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতীয়দের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে। তা কখনোই সফল হবে না। সব মিলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।

বছর খানেক আগে কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে প্রথম রিপোর্ট পেশ করে ইউএনএইচসিআর। সেখানে ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই এই অঞ্চলের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়।

Comments