‘আল আকসা মুসলিম উম্মাহর সম্পদ, রক্ষার দায়িত্ব গোটা উম্মতের’

প্রকাশিত: ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৩

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি : স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। আর ইসরাইলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় খুলনা নগরীর বায়তুন নুর মসজিদ উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হুসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মুফতি মাহবুবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, দলের নগর নেতা শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, নগর সহ-সভাপতি আবু তাহের, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতার ওপর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা নৃশংস, নির্দয়, নির্মম ও চরম অমানবিক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চলমান হামলা হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণের আহ্বান জানান।

নেতারা আরো বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না’। তাই অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসংঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন, সম্মানজনক জীবনলাভের সংগ্রামে, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অতীতে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো।

ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশ  খুলনা মহানগরীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতি আব্দুল জব্বার আজমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতি হেলাল উদ্দিন, গাজী মিজানুর রহমান, শেখ হাসান ওসমান করীম, মোঃ মহিবুল্লাহ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ডাক্তার মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মুফতী ইলিয়াস মাঞ্জুরী, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ রওশন আলী, আলহাজ্ব সরোয়ার বন্দ, ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, এস এম শাহিন হোসেন, মাওলানা হারুনুর রশিদ, গাজী ফেরদাউস সুমন, মোঃ এনামুল হাসান, মুফতী মইনুল ইসলাম, নুরুল হুদা সাজু, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা আবু সাঈদ, মো ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গাজী মুরাদ হাসান, আলফাত হোসেন লিটন, ইসমাইল হোসেন দুলাল, মোঃ কামরুজ্জামান, যুবনেতা মুফতী আ.হ.ম আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতি ফজলুল হক ফাহাদ, ইমরান হোসেন মিয়া, আব্দুর রশিদ, এস কে নাজমুল হাসান, শিক্ষক নেতা মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মোস্তফা বাঙালি, মাওলানা মাহবুবুল আলম, ছাত্র নেতা মোঃ মঈনউদ্দীন, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরহাদ মোল্লা, মাহাদী হাসান মুন্না, নাঈম ইসলাম, মোস্তফা আল গালিব, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে দলের নগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল নগরীর নিউমার্কেট, বায়তুন নুর ,শিববাড়ী মোড়, ময়লাপোতা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

Comments