চীনকে পাত্তা না দিয়ে ফের তাইওয়ানে আরেক মার্কিন সিনেটর নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২২ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে আজ শুক্রবার সকালে সাক্ষাৎ করেন সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন (বাঁয়ে)ছবি: রয়টার্স চীআন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে আবারো তাইওয়ান সফর করেছে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য। চীনের সাম্প্রতিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও মার্কিন সিনেটের ‘কমার্স অ্যান্ড আর্মড সার্ভিসেস কমিটির’ এই আইনপ্রণেতা গতকাল বৃহস্পতিবার তাইওয়ান পৌঁছান। এ নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয় দফা কোনো উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তা দ্বীপটি সফরে এলেন। খবর রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে চড়ে তাইপে পৌঁছান সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। সংশান বিমানবন্দরে তাঁকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডগলাস স্বাগত জানান বলে ব্ল্যাকবার্নের দপ্তর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে এই মার্কিন সিনেটর বলেন, ‘ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাইওয়ান আমাদের শক্তিশালী অংশীদার। উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাইপে সফর যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি নীতির অংশ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির তর্জন-গর্জনে আমি দ্বীপটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না।’ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে আজ শুক্রবার সকালে সাক্ষাৎ করেন ব্ল্যাকবার্ন। শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়েলিংটন কু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উর সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। কাল শনিবার এই মার্কিন কর্মকর্তা তাইপে ছাড়বেন। ব্ল্যাকবার্নের এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংয়ু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উসকানির জবাবে ‘দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা’ নেবে চীন। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। এক বিবৃতিতে লিউ বলেন, এই সফর আবারও প্রমাণ করেছে তাইওয়ান প্রণালিতে স্থিতিশীলতা চায় না যুক্তরাষ্ট্র। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত উসকে দিতে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে তারা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখছে না। ব্ল্যাকবার্ন টেনেসি থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান। আগস্টের শুরুতে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতি তিনি সমর্থন জানিয়েছিলেন। পেলোসি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য। পেলোসির ওই সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীন। বিমান ও নৌবাহিনীর এই মহড়ায় কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছিল চীনের সামরিক বাহিনী। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিরাপত্তা ও জলবায়ুসংক্রান্ত কিছু সংলাপও স্থগিত করে বেইজিং। যে প্রশ্ন শুনে হেসে পেলোসি বললেন, কে পাত্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি পেলোসির সফরের প্রায় এক সপ্তাহ পর মার্কিন আইনপ্রণেতাদের পাঁচজনের একটি দল তাইওয়ান সফর করে। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের কাছে আরও সামরিক মহড়া চালায় চীনের সামরিক বাহিনী। স্বশাসিত গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। প্রয়োজনে যেকোনো সময় শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টিও কখনো নাকচ করেনি বেইজিং। / আরএফ/একুশনিউজ/ Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: আমেরিকাচীনতাইওয়ান