প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা

এক টেবিলে বাইডেন, ইয়ুন ও ফুমিও কিশিদা

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৩
বা থেকে ইয়ুন সুক, জো বাইডেন ও ফুমিও কিশিদা

ত্রিপক্ষীয় সম্পর্কেও নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দুই রৈরী পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। সম্প্রতি এক টেবিলে বসেছেন তিন দেশের নেতা জো বাইডেন, ইয়ুন সুক ও ফুমিও কিশিদা। বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নবমিত্রতার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ বিবৃতিতে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদাওে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেগুশগুলো। খবর আলজাজিরা।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসির ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিডে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রৈসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকলেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক আচরণ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে এই বৈঠক করেন তিন দেশের নেতা।

বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী ও অভিন্ন সমৃদ্ধির প্রচারে আমরা আমাদের অঙ্গীকারের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ এ সময় দক্ষিণ চীন সাগওে বেইজিংয়ের ‘বিপজ্জনক ও আক্রমণাত্মক আচরণ’ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কার্যক্রমের নিন্দা এই তিন নেতা।

যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান নিজেদের মধ্যকার জটিল সমস্য সমাধান করায় বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা ও ইউনের প্রশংসা করেন বাইডেন। এ সময় তারা বাইডেনের পাশেই ছিলেন।

এ ছাড়া বৈঠক শেষে তিন দেশের মধ্যে বেশকিছু কর্মসূচির কথা জানানো হয়। তারা বলছেন, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বার্ষিক সামরিক মহড়া, তিন দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং আগাম সতর্কবার্তার জন্য সাপ্লাই-চেইন স্থাপন।

এছাড়াও আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় একটি হটলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে শক্তিধর এই তিন নেতা। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করা হবে জানানো হয়েছে।

তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনের তিন দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় তাদের এই বৈরিতাকে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বৈরিতা নিরসনকে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য করে করে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

Comments