কারফিউ ভেঙে কাশ্মীরে দফায় দফায় বিক্ষোভ, আটক ৫০০ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৯ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযানে রাজনীতিবিদসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক কাশ্মীরিকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গতকালের মতোই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শ্রীনগরের রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ। বৃহস্পতিবারও শ্রীনগর থেকে দফায়-দফায় বিক্ষোভ মিছিলের খবর এসেছে। পুঞ্চ, কার্গিল ও কুপওয়ারায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আনন্দবাজার জানায়, বিজেপি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন বিক্ষুদ্ধ কাশ্মীরি জনগণ। বিক্ষোভকারীদের দমাতে ছররা গুলি ছুড়েছে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী। ছররার আঘাতে শ্রীনগরের হরি সিংহ হাসপাতালে নতুন করে শতাধিক মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে থেকেই কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এই মুহূর্তে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে সাত লাখের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে। কাশ্মীরের প্রভাবশালী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাসহ আটক ও গৃহবন্দি রাজনীতিকের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে এনে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: