বন্দিদের মুক্তির আগে সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না এরদোগান

প্রকাশিত: ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯

একুশে ডেস্ক: বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আগে মিসরের সেনাশাসক জেনারেল সিসি’র সঙ্গে তিনি কখনও কথা বলবেন না। টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন।

তিনি বলেন, আমি কখনও দেখা করবো এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে। প্রথমত, সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যতক্ষণ না তিনি তাদের মুক্তি দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গে বসতে পারি না।

এরদোগান বলেন, যারা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, কেন আমি সিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করছি না, তাদের জন্য এটাই আমার উত্তর। জেনারেল সিসি’কে একজন কর্তৃত্ববাদী ও সর্বগ্রাসী শাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, মিসরের সঙ্গে কেন আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে? কেন আমরা উচ্চ পর্যায়ের নেতারা কথা বলছি না? এ বিষয়গুলো দেখা দরকার।

স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, যারা (পশ্চিমা দুনিয়া) বলে থাকে তারা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধী, তারাই জেনারেল সিসি’র প্রেসিডেন্সিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এই সিসি ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসা মোহাম্মদ মুরসি’কে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। কথিত সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধীরা এই সিসি’র বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তার জন্য লাল গালিচা বিছানো হচ্ছে। এই দেশগুলোই ২০১৬ সালে তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের নেপথ্যে ছিলো।

জেনারেল সিসি’র সঙ্গে যারা যোগাযোগ রাখছে ইতিহাস তাদের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরদোগান বলেন, মিসরের জনগণ তুরস্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তবে সেটা কখনও জেনারেল সিসি নয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি। এর এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। প্রতিবাদে মুরসি সমর্থকরা রাস্তায় নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ব্রাদারহুডের প্রায় হাজারখানেক নেতাকর্মী। অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয় ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে মুরসি সমর্থকদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জেনারেল সিসি’কে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সউদী আরব।

/এফএফ

Comments