সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন, ছুটে আসে পাকিস্তানি ফাইটার জেট

প্রকাশিত: ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

একুশে ডেস্ক: রতের প্রত্যাঘাত সামলাতে দিনভর সময় লেগেছে পাকিস্তানের। ধাক্কা সামলে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে কাশ্মীরের সাত জায়গায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নৌসেরা, আখনুর, কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলা বর্ষণ করে তারা। রাজৌরি এবং পুঞ্চ সেক্টরেও গুলি বর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অভিযান শেষে ভারতীয় বিমান চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই উড়ে আসে পাকিস্তানি ফাইটার জেট। এসময় ফাইটার জেটগুলো আকাশে চক্কর দিতে থাকে।

যদিও চুপ করে বসে থাকেনি ভারতীয় সেনাও। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলি, মর্টার শেল বর্ষণের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের গুলির জবাবে পাল্টা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। ‌

ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পাকিস্তানি বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। সিভিলিয়ানদের বাড়িগুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। তবে পালটা হিসাবে সিভিলিয়ানদের বাড়িগুলি তাক করে গুলি চালাচ্ছে না ভারতীয় সেনা। শুধুমাত্র পাকিস্তানি পোস্টগুলি লক্ষ্য করেই গুলি চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী৷

পাকিস্তানকে সময় মতো সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেখেছে ভারত। অন্যদিকে, আক্রান্ত হলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও নয়া দিল্লিকে দেখে নেওয়ার পাল্টা হুমকি এসেছে।

এসব হুমকির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ‘মিরাজ ২০০০’র ১২টি যুদ্ধ বিমান এই অভিযান চালায়।

ভারত দাবি করছে, বিমানবাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে অনেকগুলো জইশ জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দেয়। মৃত্যু হয় সিনিয়র কমান্ডারসহ মোট ৩০০ জঙ্গির। অভিযানে এক হাজার পাউন্ড বোমা বর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই।

নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩০০ জন। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম এমনটাই দাবি করছে।

/এফএফ

Comments