যারা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের রক্ষায় চেষ্টা করছে তাদেরও বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: যারা দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছি। কোনো ষড়যন্ত্রই জাতিকে এ পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

এই কুখ্যাত মানবতা বিরোধীদের যারা রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে। এসব রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে। দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

বাণীতে তিনি, শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, জাতি চিরদিন তাঁদের এই আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে নামে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজ করে।

বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে তারা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরো অনেকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশ যাতে আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেটাই ছিল এ হত্যাযজ্ঞের মূল লক্ষ্য।

তিনি, দল-মত নির্বিশেষে ১৯৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত চক্রের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বরেন, ২০১৮ সালের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এটাই হবে আমাদের অঙ্গীকার।

/আরএ

Comments