বিনোদন ডেস্ক: ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করতে এসে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হয়ে গেলেন পিরোজপুরের মেয়ে ঐশী। এইচএসসি পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌসী ঐশী। গত জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিংও শুরু করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন যখন মনে তখনই ঐশী জানতে পারেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’-এর আবেদন করার খবর। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে আবেদন করেন। নাম নিবন্ধনের পর বাবা-মাকে জানালে তারা বাধা না দিয়ে মেয়েকে আরো উৎসাহ দেন।

একটা পর্যায়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেন ঐশী। সেরা দশে জায়গা পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। কোচিং করতে এসে শেষ পর্যন্ত হয়ে যান ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’। ঐশীর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মাটিভাঙ্গা এলাকায়। বাবা আবদুল হাই সমাজকর্মী আর মা আফরোজা হোসনে আরা স্কুলশিক্ষিকা। ঐশীরা দুই বোন। বড় বোনের নাম শশী।

ঐশী বলেন, ‘আমি জানি, বিচারকেরা সবদিক বিবেচনা করে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত করেছেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় এসে শুরু থেকেই শিখছি। তবে জিতব, এমনটা ভাবিনি। খুব নার্ভাস ছিলাম। গত বছর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ দেখে মনে হয়েছে, অন্য সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো থেকে এটি আলাদা। বয়সের কারণে অংশ নিতে পারিনি। যেহেতু এই আয়োজন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছার সুযোগ করে দেয়, তাই ইচ্ছে ছিল। যখন দেখলাম নিবন্ধন শুরু হয়ে গেছে, তখন যুক্ত হয়ে যাই।’

’মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আগামী ৭ ডিসেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন ঐশী।

ঐশী বলেন, আমি এমন কিছু করতে চাই, যাতে সবার উপকার হয়। অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করতে চাই, অবশ্যই সেরাদের একজন হতে চাই। ভালো কাজ করতে চাই। মানুষের ভালোবাসা পাব, এমন কিছু করতে চাই সব সময়।

/আরএ

Comments