ভারতে ভার্সিটি-পড়ুয়া মুসলিম তরুণীকে হেনস্থা, হুমকি

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো হিন্দু গোঁড়া মৌলবাদী দল বিজেপি বিজয়ী হবার পর ভারতে যেন মুসলিম নির্যাতন হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। মুসলিম যুবকদের মারধরের পর এবার হিজাব পরায় এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দেশটিতে। শনিবার দেশটির উত্তরবঙ্গের একটি মেডিকেল কলেজে এমন ঘটনা ঘটেছে।

নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত লোক ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে ওই ছাত্রীকে হুমকি দেয়। তবে হুমকিদাতারা সবাই বহিরাগত বলে দাবি ওই ছাত্রীর।

ওই ছাত্রী বলেন, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ খাবার খেয়ে ক্যান্টিন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ফিরছিলাম। এ সময় কয়েকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। আগে কখনও ওদের আমি দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি হিজাব পরে আছি দেখে ওরা আমাদের দিকে আঙুল তুলে জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম বলে চিৎকার করতে থাকে। এর পর ওই ১০-১২ জন আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল। বাঁচতে আমরা দৌড়ে পালাই।

ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, আমি একজন হিজাব পরা মুসলিম। আমি সবসময় হিজাব পরি। আমি আমার জীবনে কখনও এমন হয়রানির শিকার হইনি।

এ ছাড়া ওই ছাত্রী দেশটির পুলিশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার দাবি, স্থানীয় থানা প্রথমে তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। তিনি বলেন, প্রথমে পুলিশ এফআইআর থেকে ‘হুমকি’ শব্দ বাদ দেয়ার শর্তে অভিযোগ গ্রহণে রাজি হয়। তবে পরের দিন পুলিশ পূর্ণাঙ্গ অভিযোগ গ্রহণ করেছিল।

এর আগে সোমবার বিহারের বেগুসরাইয়ে মুসলিম হওয়ার কারণে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোহাম্মদ কাশিম (৩০) নামে এক যুবক।

জানা গেছে, ওই যুবকের মুসলিম নাম শুনেই গুলি করেন নেশাগ্রস্ত এক ব্যক্তি।

এর আগে গত শনিবার হরিয়ানারাজ্যের গুরগাঁও জেলার গুরুগ্রামে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এক দল লোক।

মারধরের শিকার মোহাম্মদ বরকত নামে ওই ব্যক্তি জানান, নামাজ শেষে মাথায় টুপি পরে ফিরছিলেন, পথে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এর মধ্যে একজন অকথ্য ভাষায় ডাক দিয়ে বলে এই এলাকায় টুপি পরা নিষেধ। এর পর তাকে মারধর করা হয়।

এসকে/

Comments