‘বর্ণবাদী’ গান্ধীর ভাস্কর্য সরিয়ে দিলো

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গান্ধী ‘বর্ণবাদী’ ছিলেন—এমন অভিযোগ তুলে ইউনিভার্সিটি অব ঘানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। আফ্রিকার দেশ ঘানার ঐতিহ্যবাহী একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অহিংস আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য দুই বছর আগে আক্রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উন্মোচন করেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধ হিসেবে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে ভাস্কর্যটি স্থাপনের অল্প সময়ই পরই এটি সরিয়ে ফেলতে শিক্ষার্থীরা জনমত গড়ে তোলেন।

তাঁদের অভিযোগ, আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গি ভালো ছিল না। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বুধবারের মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব আফ্রিকান স্টাডিজের ভাষা, সাহিত্য ও নাট্যতত্ত্বের প্রধান ওবাদেলে কামবোন বলেন, ‘এই অপসারণটা আত্মমর্যাদার বিষয়।

আমরা যদি নিজেদের সম্মান না করি, নিজেদের নায়কদের প্রশংসা না করে যারা আমাদের অসম্মান করেন, তাদের সম্মান করি, তাহলে এটা অবশ্যই একটা বিষয়। নিজেদের নায়কদের যদি আমরাই সম্মান না করি, বিশ্বের কাছ থেকে কীভাবে সম্মান প্রত্যাশা করি আমরা? ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা কৃষ্ণাঙ্গদের মর্যাদা ও আত্মসম্মানের বিজয়।’

অ্যাডিলেইডে নামের এক শিক্ষার্থীও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চায়নি। আর ঘানার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।

/সিএইচ

Comments