ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে কলকাতার স্থানীয় মুসলিমরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যা ও তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরানোর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টার ঘেরাও কর্মসূচিতে এ বিক্ষোভ হয়।

সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ও মাইনরিটি ফোরামের ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। এরপর সেই মিছিল রওনা দেয় চৌরঙ্গীর আমেরিকান সেন্টার দিকে। নিরাপত্তার কারণে দূতাবাসের কিছুটা আগেই সেক্সপিয়ার স্মরণির কাছে মিছিলের গতি আটকে দেয় পুলিশ। পরে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনর ৫ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতা পুলিশের উপস্থিতিতে আমেরিকান সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করে।

প্রতিনিধি দলটির পক্ষ থেকে জেরুসালেম থেকে মার্কিন দূতাবাস প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনে নিরাপরাধ মানুষদের হত্যলীলা বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনে মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘জাতিসংঘের রেজুলেশন লঙ্ঘন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে দূতাবাস খোলে। এর বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা আন্দোলনে নামলে তাদের ওপর ইসলায়েলি সেনাবাহিনী নির্যাতন চালায় এবং তাতে প্রায় শতাধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম হত্যা করেছে। এর প্রতিবাদে এবং জেরুজালেম থেকে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করার প্রতিবাদে আমরা আমেরিকান সেন্টার ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছি। আমেরিকান সেন্টারে গিয়ে আমরা একটি ডেপুটেশনও জমা দিয়েছি’।

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সঙ্গে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরানোর জন্যও নির্দেশ দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের পরই গোটা আরব দুনিয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্যালেস্টাইন থেকে শুরু করে এমনকি আমেরিকার বন্ধু বলে পরিচিত সৌদি আরবও ট্রাম্পের ওই ঘোষণায় বিরোধিতা করে। ট্রাম্পকে এর ধরনের ঘোষণা না করার অনুরোধ জানিয়েছে পোপ ফ্রান্সেসও। জাতিসংঘও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানায়। কিন্তু এত বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ১৪ মে জেরুসালেমে দূতাবাস খোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দূতাবাস খোলাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে অন্তত অর্ধ শতাধিকেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়।

/এমএম

Comments