প্রধানমন্ত্রীর সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের বিদায়ী সাক্ষাত

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৮

একুশ নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্লুম মার্শা বার্নিকাট।

মঙ্গলবার সন্ধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

ড্যান মজিনা বিদায় নিলে তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বার্নিকাট।

এবার বার্নিকাটের বিদায়ের পালা। বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হয়ে আসছেন মার্কিন মেরিন কোরের সাবেক কর্মকর্তা আর্ল রবার্ট মিলার।

প্রায় চার বছর ধরে বাংলাদেশে কর্মরত আছেন বার্নিকাট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এটাই তার বাংলাদেশে কর্মজীবনের শেষ সাক্ষাত।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এক মওসুমের তরিতরকারি অন্য মওসুমে পাওয়া যেত না। কিন্তু আমরা এখন সারাবছর জুড়েই সবধরনের তরিতরকারি পাচ্ছি, এটা আমাদের গবেষণা এবং কৃষি গবেষকদের অবদান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীন সাফল্যও কামনা করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মার্সিয়া স্টিফেন্স বুম বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিদায়ী সাক্ষাৎকালে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত-উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ‘চমকপ্রদ’ আখ্যায়িত করে ‘এই প্রজন্মই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে’ বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শিক্ষাকে সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, যে কোন দেশের উন্নয়নে এটি একটি বড় বিষয়। বার্নিকাট এদেশে উৎপাদিত আম এবং লিচুরও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, তাঁর মূল লক্ষ্যই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের যুব সমাজের প্রশংসা করে বলন, তারাই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

/আরএ

Comments