প্রধানমন্ত্রীকে জবাব জনগণই দেবে: ফখরুল

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮

খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনসহ সব দাবি প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাখ্যান করার পর এখন জনগণকেই শেষ ভরসা মনে করছে -বিএনপি

আলোচনার পথ নাকচ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার পথ কী- সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমাদের সামনে এখন পথ জনগণ। জনগণই এর উত্তর দেবে।”

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিল। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর তার মুক্তির শর্তও জুড়ে দেয় তারা।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো উদ্যোগ তারা নেবেন না। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও সরকারের করার কিছু নেই।

বিএনপি না এলেও নির্বাচন করে ফেলার পক্ষপাতি শেখ হাসিনা এটাও বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।

সোমবার ফখরুলের কাছে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জনগণকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সমস্ত যে ইভিল ডিজাইন আছে, তাদের পরাজিত করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ তাদের সঙ্গেই রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন এবং তিনি আশাবাদী জনগণ আবার নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখবে।

ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। এখন তিনি যে পথে এগুচ্ছেন, সেই পথটা হচ্ছে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের রায় নেওয়ার কোনো পথ আমরা দেখতে পারছি না এবং তার কোনো ইচ্ছাও নেই।”

নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই- এই বক্তব্যের মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে বিএনপি।

ফখরুল বলেন, “যেটা গোটা দেশের মানুষের দাবি। সেই দাবিগুলোকে তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। বলেছেন যে সংবিধান অনুযায়ী সব কিছু হবে। সংবিধান তো মানুষের তৈরি করা। ইতোপূর্বে যে সংবিধান ছিল, সেটা তো তারাই পরিবর্তন করেছেন। সংবিধান তো অসংখ্য বার কাটছাঁট করে তারা তাদের সুবিধা মতো করে নিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “আমরা জনগণের দাবি নিয়ে লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। এটা তো বিএনপির দাবি নয়, এটা জনগণের দাবি যে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই, জবাবদিহিমূলক সংসদ চাই, সকলে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে জনগণের কাছে।

“সেই পার্লামেন্ট তৈরি করার জন্যই আজকে আমরা কথা বলছি, আন্দোলন করছি, দাবি করছি। এর জন্যই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এবং এর জন্যই তারেক রহমান সাহেব দেশের বাইরে,হাজার হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে আছেন। তারা তো সব বিএনপির নেতা-কর্মী নয়।

“এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য জনগণই তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণই একথাগুলোর জবাব দেবে।”

Comments