নিষিদ্ধ সময়ে বাংলাদেশের জলসীমায় অবাধে মাছ ধরছে ভারতীয় জেলেরা

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: মা ইলিশের ডিম পাড়ার সময়টায় জেলেদের ইলিশ শিকারে রয়েছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা। এ সময় জেলেদের স্বাচ্ছন্দে দিন যাপনের জন্য প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথাও রয়েছে।

যেখানে বাংলাদেশের জেলেদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মাছ ধরার ব্যাপারে সেখানে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশের জলসীমায় অবাধে মাছ ধরছে ভারতীয় জেলেরা।

পটুয়াখালীর পাথরঘাটা ছাড়াও সুন্দরবনসংলগ্ন, মহিপুর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় ভারতীয় জেলেরা নৌসীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় জেলেরা জানায়, তারা ছোট ফাঁসের কারেন্ট জালসহ ৫ থেকে ৬ ধরনের অত্যাধুনিক জাল ব্যবহার করে। পাশাপাশি মাছের পোনাও ধরে। একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি ট্রলার প্রবেশ করে মাছ শিকার করে।

তাদের কাছে থাকে জিপিএস (বিশেষ সংকেত) নামক বিশেষ ধরনের যন্ত্র। এ যন্ত্রের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেরা যে পথ দিয়ে সাগরে আসে, পুনরায় সে পথ দিয়েই খুব সহজে ফিরে যায়। অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে সাগরের তলদেশের মাছ দেখে জাল ফেলে তারা।

অপরদিকে বাংলাদেশি জেলেরাও মানছে না সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালালেও সুযোগ পেলেই পদ্মায় জাল ফেলছেন জেলেরা।

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর থেকে তারাবুনিয়া, জাজিরার পালেরচর, গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি, চরজুজিরা এলাকায়ও ধরা হচ্ছে মা ইলিশ। জেলেদের অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের দেয়া ২০ কেজি চাল পাচ্ছেন না তারা।

তবে ইলিশ রক্ষায় এ অভিযান আরো জোরালো করার কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। আর জনবল ও যানবাহন সংকটের কারণে চাল পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার সাজ্জাদুর রহমান আমাদের সময়কে মুঠোফোনে বলেন, গভীর সমুদ্রে অভিযানে যে জলনযান প্রয়োজন তা আমাদের নেই। তবে ইতোমধ্যে আমরা নৌবাহিনীর কাছে বিষয়টি জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছে।

সরকারের ইলিশ রক্ষার উদ্যোগ সফল করতে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা মনে করেন, ইলিশের প্রজনন রক্ষার্থে ভারতীয় জেলেরাই শুধু নয় বাংলাদেশিরাও যেন বিষয়টি সম্পর্কে আইনের প্রতি খেয়াল রাখে সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

বিআইজে/

Comments