কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সম্মানিত হয়েছেন: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০১৮

নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের স্বীকৃতি প্রদান করে শুধু আলেম ওলামদের সম্মানিত করেননি বরং প্রধানমন্ত্রী নিজেই সম্মানিত হয়েছেন।

আজ বিকেলে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় বেফাক চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে প্রধান বক্তার আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

মাও. নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা ছলিমুল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম ও বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

সংসদে কওমি স্বীকৃতির বিল পাশের গুরুত্ব তুলে ধরে চবি উপাচার্য বলেন, বিশ্বের মধ্যে এভাবে আড়ম্বর আয়োজনে সংসদে কোন শিক্ষার স্বীকৃতির নজির নাই। স্বীকৃতির কারনে এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আল আজহারের মতো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে পাবলিক ভার্সিটিতে অধ্যাপনা করতে পারবেন।

ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মসজিদে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে গ্র্যাজুয়েট এক আলেমকে নিয়োগ দিয়েছি। দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র প্রশংসা করতে গিয়ে ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, হুজুর শুধু বাংলাদেশের নয় বরং সারা বিশ্বের মুরুব্বি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও হুজুরকে সম্মান করেন। আমি এসে হুজুরকে কদমবুসি করেছি। তিনি আমাকে আপনের মতো করে বুকে টেনে নিলেন। এই শতোর্ধ বয়সেও হুজুর দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছেন যা আশ্চর্যজনক।

এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে কওমি শিক্ষার স্বীকৃতির মাধ্যমে দারুল উলুম হাটহাজারীর সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, বেফাক সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, হাটহাজারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ্য মীর কফিল উদ্দিন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির প্রমূখ।

/আরএ

Comments