ঐক্যমঞ্চ! নাকি বিএনপির নেতৃত্ব দখলে যাচ্ছে ডক্টর কামালরা?

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০১৮

হাবিবুর রহমান মিছবাহ
আলেম, লেখক ও সামজকর্মী

রাজনীতির চালে বর্তমানে ডক্টর কামাল সাহেবরা শীর্ষে। তবে ডক্টর কামাল সাহেবদের যদি গোপনে কেউ চালিয়ে থাকে, তাহলে পূর্ণ মার্কসটা পর্দার আড়ালের সেই চালবাজরাই পাবে। বিএনপির মতো একটা বৃহত্তর দলকে ইতোমধ্যেই বিড়াল বানিয়ে ছেড়েছে এই ঐক্যমঞ্চ! বিএনপিকে আল্টিমেটাম দেয় ডক্টর কামাল।

ডক্টর কামাল সাহেবদের নীল নকশায় জন্মনেয়া এই ঐক্যমঞ্চ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সু-বাতাস বইবে বলে বিশ্বাস করি না। বরং শুধুই একটা ঘোল পাকাতে এসছেন তারা। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান না থাকায় সুযোগটা ভালোই কাজে লাগাচ্ছেন রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়া এই ওল্ড রাজনীতিকরা। মনে হচ্ছে ঐক্যের নামে বিএনপির নেতৃত্বই চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। প্রশ্ন হচ্ছে, ঐক্যমঞ্চ? নাকি বিএনপির নেতৃত্ব দখলে যাচ্ছে ডক্টর কামালরা? ভাবখানা এমন, যেনো তারা ব্যতিত দেশ অচল! বিএনপি কী মনে করে ডক্টর কামালের মতো লোকদের সঙ্গে ঐক্য করতে গেছে বোধগম্য নয়।

দুঃখের বিষয় ডক্টর কামালের মতো লোকেরা জমিয়ত ও খেলাফতকে তাদের করুণার পাত্র ভাবে! ইসলাম শব্দটা শোনলেই ওদের মাথা বিগড়ে যায়। অথচ জমিয়ত কিংবা খেলকফতের যে ক’জন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল আছেন, সারাদেশ মিলে ডক্টর কামালের ততোজন কর্মী সমর্থকও নেই। তবে কোন্ কৌশলের অংশ হিসেবে আমাদের ওলামা প্রতিনিধি হযরতরা কাদিয়ানী এজেন্টদের বৈঠকে গেলেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। ইসলাম ও মুসলমানদের এভাবে হেয় করা কোনো কৌশল হতে পারে না। ডক্টর কামালদের চেয়ে আওয়ামীলীগকে হাজারগুনে বেটার মনে করি। বিএনপিতে না হয় ইসলাম রক্ষার জন্য গিয়েছি, কিন্তু চরম ইসলামবিদ্বেষীদের সঙ্গে কী রক্ষার জন্য?

ইসলাম ও ইসলামবিদ্বেষী, দুটোর নীতি, আদর্শ ও লক্ষ্য সম্পূর্ণ আলাদা। দুটি এক হতে পারে না। জাতির সামনে ইসলামের সু-মহান আদর্শকে স্পষ্ট রাখতে হবে। জাতি বিভ্রান্ত হবে এমন কাজ করা যাবে না। ইসলামবিদ্বেষীদের নীতি বা লক্ষ্য স্পষ্ট থাকলেও, ইসলামী নেতৃত্বের মতানৈক্য আর নীতিহীন ছুটোছুটির কারণে, মুক্তিকামী গণমানুষ দিশেহারা প্রায়।

ডক্টর কামালদের মতো সেক্যুলারদের ঐক্যমঞ্চে গিয়ে যদি কোনো ইসলামী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার পাবলিক বক্তব্য হয় ‘ঐ মঞ্চে গিয়ে আমাদের দল পঞ্চাশ বছর এগিয়ে গিয়েছে’, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মাজা ভাঙ্গা। পরনির্ভরশীলতাই আমাদের সফলতার মাপকাঠী। নিজস্ব ঐতিহ্য, অবদান ও স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছি। এমতাবস্থায় ইসলামী দলগুলির নীতি নির্ধারকদের খুব সাবধানতা ও হিসেব কষে পা ফেলতে হবে। বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে তৃণমূল থেকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত। অন্তত আমাদের কর্মে আমজনতা যেনো ওলামায়ে কেরামের দিকে আঙ্গুল তোলার সুযোগ না পায়।

/আএর

Comments