প্রাণঘাতি ও দুরারোগ্য এসব রোগীদের চিকিৎসা ভার কে নেবে? নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২:০৩ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯ ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে ৩ দিন ব্যাপী রোগীকল্যাণ সমিতির মেলা করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। হয়তো জেলা ব্যাপীও এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্দেশ্য রোগী কল্যান সমিতির ফান্ড সংগ্রহ। সরকার ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, ষ্ট্রোকসহ মরণঘাতি রোগের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। এই টাকা প্রয়োজনের তুলানায় একেবারে নগন্য হলেও কেও তুচ্ছ করে না। সেই টাকায় চিকিৎসা হবে না ভেবেও নিদেনের পুজি মনে করেন অনেকে। প্রাণঘাতি কোন রোগ একবার যদি কোন পরিবারে ঢোকে তবে সেই পরিবারের আর কিছুই থাকে না। অর্থ যায়, সম্পদ যায়, ভিটেবাড়ি জমি জাতি সবই চলে যায় চিকিৎসা করাতে। শেষমেষ এতো চেষ্টা করেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা হতে পারে না। উপরন্ত পরিবারটি পথে বসে। আমরা যারা সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করি তাদের কাছে এমন সাহায্যের নিউজ মাসে ৫/১০টি করে আসে। কিন্তু একটা মানুষ ক’দিন সাহায্য করবেন ? আগে ফেসবুকে এমন খবর দিলে মানুষ গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করবেন। নানা কারণে এখন সেই দানও কমে এসেছে। সমাজের মানুষ বিচিত্র সব রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বড়লোক বা অর্থশালীরা তো আর সরকার বা বিত্তবানদের দারস্থ হন না। তারা চুপচাপ বিদেশ পাড়ি জমান। কিন্তু শহর বা গ্রামের হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্তের মানুষ অহরহ ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন নতুন করে দেখা দিয়েছে জিবিএস ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্ত পরিবার মুহুর্তের মধ্যে পথে বসে যাচ্ছে। রোগটি হলে এককালীন জমা দিতে হয় ১০ লাখ টাকা। জিবিএস রোগে আক্রান্ত রোগিকে ৫ দিনে ৫ টিকে ভ্যাকসিন দিতে হয় যার মুল্য ১০ লাখ টাকা। এই টাকা দরিদ্র তো দুরে থাক, কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের তাৎক্ষনিক ভাবে বহন করার সামর্থ নেই। এই সব রোগের ক্ষেত্রে সরকার যদি দায়িত্ব গ্রহন করে তাহলে অনেক পরিবার পথে বসার হাত তেকে যেমন বাঁচবে, তেমনি আপন জনদের জীবন ফিরে পেয়ে আহলাদিত হবে স্বজনরা। আমরা জানি ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মৃত্যু অনিবার্য্য জেনেও স্বজনরা তার আপনজনকে দুনিয়ায় রাখতে সব কিছু বিক্রি করে দেয়। সরকার দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ টাকা দান করছেন, কিন্তু গ্রামের একজন হতদরিদ্রকে হয়তো সমাজসেবা অধিদপ্তরের নগন্য কিছু টাকা পেয়েও হারাতে হচ্ছে প্রিয় আপনজনকে। তারপর ফতুর হওয়া পরিবারটি যখন দেখেন সরকারের কাছ থেকে ২৫ বা ৫০ লাখ টাকা পেয়ে একজন নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছেন তখন কিন্তু তাদের মনে কিছুটা হলেও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বৈষম্য বা বিভেদের আবেগ কাজ করে থাকে। সুতরাং সরকার যদি গ্রামের হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, ষ্ট্রোক ও জিবিএস ভাইরাস চিকিৎসার দায়িত্ব নিত, তবে পরিবারগুলো নিঃস্ব হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেত। এমএম/ Comments SHARES বিশেষ প্রতিবেদন বিষয়: প্রাণঘাতি ও দুরারোগ্য