বান্দরবানের কলা চাষের বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে তৃপ্তির হাসি

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮

নুসিং মারমা, বান্দরবান: বান্দরবানে শীতের মৌসুমের এবারও কলা চাষের বাম্পার ফলন হওয়ায় পাহাড়ে চাষীদের মুখে তৃপ্তির হাসির দেখা গেছে। এসব কলা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ কলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় রুমা, থানছি, রোওয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, উপজেলায় আগে থেকেই কলাচাষের খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর এসব জায়গার পাহাড়ে বাংলা কলা, চাম্পা কলা, আনাজি কলা, সাগর কলা, সবরি কলা ও সূর্যমুখী কলার উৎপাদন বেশ ভালো হয়।

এখানকার পাহাড়ি মাটি কলা চাষের উপযোগী হওয়ায় সারা বছর এসব অঞ্চলে কলার ফলন হয়। কিন্তু বিজ্ঞ চাষি মংমেচিং মারমা বলেছেন, গত বছরের চেয়ে কলার দাম এবার অনেক কম। তাই ন্যায্য দামও না পাওয়ায় তারা হতাশ।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আরো জানা গেছে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সহ খাগড়াছড়িতেও এবার কলার প্রচুর ফলন হয়েছে। এমনকি এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় এলাকা ছাড়িয়ে পার্বত্য জেলার কলা বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

তবে সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু বাজারজাতে নানা সমস্যার কারণে উৎপাদিত কলার বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বহুকষ্টে উৎপাদিত কলা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। তারা জানান, পাইকারি দরে কলার ছড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে সর্বোচ ২৮০ টাকার মধ্যে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড়ি জেলাগুলোয় কৃষকরা অন্য চাষাবাদের পাশাপাশি কলা চাষ করে আসছে। ফলনও হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক। সারা দেশের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন জাতের কলা সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়। এ কলা খেতে খুব মিষ্টি। তাই ক্রেতাদের চাহিদাও বেশি।

সংরক্ষণাগারের অভাববোধের কথা স্বীকার করে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, পাহাড়ে এখন আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিতে কলার চাষ হচ্ছে। তাই কলার উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু কলা সংরক্ষণে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

/এসএস

Comments