প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় যেভাবে ঘটেছে চকবাজার ট্রাজেডি

প্রকাশিত: ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: সময়টা বুধবার রাত সাড়ে দশটা। চকবাজার নন্দকুমার সড়কের চুড়িহাট্টা পাঁচমুখী মোড়ে তখনও তীব্র যানজট। ঘিঞ্জি রাস্তায় আটকে ছিল পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, রিকশা, ঠেলাগাড়ি আর মোটরসাইকেলসহ শতাধিক যানবাহন। হঠাৎই বিকট শব্দের বিস্ফোরণ।

গত বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গাড়ির সিলিন্ডার প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তারপর বাম পাশে থাকা এসির ট্রান্সফরমারে এটি হিট হয়। সেখান থেকে হিট হয় ট্রান্সমিটারে। এ আগুনটা ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে। পাশের একটি পিকআপে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়া হচ্ছিল। পুরো সিলিন্ডারগুলো একচোটে বিস্ফোরণ হয়ে পাশের হোটেলে আগুন লাগে। হোটেলে চারটা বড় বড় রান্নার সিলিন্ডার ছিল। ওই চারটা সিলিন্ডার বার্স্ট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’

রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ শুরু হয় একে একে, এক গাড়ি থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য গাড়িতে। আগুনের লেলিহান শিখায় যানজটে আটকে থাকা মানুষগুলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রাণ হারায়। নিমিষেই চুড়িহাট্টা মোড় হয়ে ওঠে মৃত্যুকূপ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবনের চেয়ে রাস্তায় থাকা মানুষই প্রাণ হারায় বেশি। প্রথমত গাড়ীর গ্যাস সিলিন্ডার, দ্বিতীয়ত ভবনে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য আর সবশেষ পুরান ঢাকার অপরিকল্পিত সরু গলিপথই আগুনকে দিয়েছে দানবের রূপ।

বিআইজে/

Comments