অ্যাপেন্ডিক্স কী; জেনে নিন প্রাণঘাতী এ রোগের লক্ষণ ও কারণ

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৮

মারুফ মুনির
বিশেষ প্রতিবেদক

আজকাল প্রায়ই শোনা যায় পরিচিত বন্ধুবান্ধব কিংবা স্বজনদের মধ্যে অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশনের খবর।

অ্যাপেন্ডিক্সের যন্ত্রণায় কাতর হওয়ার কথাও শুনি। কিন্তু জানি না অ্যাপেন্ডিক্স আসলে কী। প্রত্যেকের সচেতনতার স্বার্থে রোগটা সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন।

পেটের ভিতর ছোট্ট একটি থলির মতো অঙ্গ থাকে। যার কোনো কাজ নেই। কিন্তু এই অকাজের কাজিই মৃত্য ডেকে আনতে দ্বিধা করে না। নাভির নিচে ডানদিকে থাকে এই অঙ্গটি।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত যে ছোট থলি আছে সেটাই অ্যাপেন্ডিক্স।

অ্যাপেন্ডিক্সের কোনো কাজ না থাকলেও বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই অঙ্গটি প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেন্ডিসাইটিস নামে পরিচিত।

সময় মতো অস্ত্রোপচার করা না গেলে, বা সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেন্ডিক্স প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। সে জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ বলা হয়।

আদা-জিরা পানিতে ১০ দিনে কমিয়ে নিন অতিরিক্ত মেদ

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। অ্যাপেন্সা্ই‌টিস কেন এবং কীভাবে হয়?

কারণ:-
অকেজো যন্ত্র অ্যাপেন্ডিক্সে কোনো কারণে খাদ্য বা ময়লা ঢুকে গেলে সেখানে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। ফলে নানা জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তীব্র ব্যথা শুরু হতে থাকে।

সাধারণত নাভির নিচে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা অনুভুত হয়। নাভির নিচে ডানদিকে তীব্র ব্যথার কারণে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এ রোগের পূর্বাভাসে কিছু উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা যায়।

লক্ষণ:-
সাধারণত, বমি বমি ভাব হয়। অধিকাংশ সময় গায়ে জ্বর থাকে, তবে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকে। ক্ষুদা কম হয়। ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হয়।

কোনো কারণে এই যন্ত্রটি ফেটে গেলে পেট ফুলে ওঠে। রোগির মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয়। প্রচণ্ড ব্যথায় রোগি কাতরাতে থাকে।

এ অবস্থায় দ্রুত রোগির চিকিৎসার  ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র নিতে হবে। প্রয়োজনয় অনুযায়ী অ্যাপেন্ডিস ফেটে যাওয়ার পূর্বেই অপারেশন করতে হবে।

/আরএ

Comments