ইবি পরিবাবের আন্তরিকতায় মুগ্ধ ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৮ মোস্তাফিজ রাকিব, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ, ইবি পরিবারের সাহায্যের হাত এবং প্রশাসনের সদা জাগ্রত ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী এবং সাথে আগত অভিভাবকরা। ১৭৫ একরের সবুজ সাবলীল পরিবেশ এবং বাহারী ফুলের গাছ তাদের মনে দোলা দিয়েছে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলের নানা স্বাধের খাবার ও বাহারি রংয়ের পোশাকে তারা মুগ্ধ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগত শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। থাকা-খাওয়ার বিস্তর চিন্তা মাথায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে পরীক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকরা। কিন্তু ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেই পাল্টে যায় তাদের সমূদয় ভাবনা যখন চারিদিকে চিরসবুজে ঘেরা এ আঙ্গিনার প্রতিটি বালু কণা তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। তাদের জন্য প্রস্তুত ছিলো প্রতিটি হল। ছিলো দলে দলে ভাগ হয়ে যাওয়া এক ঝাঁক তরুণ সেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী। যারা স্বার্থহীন ভাবে দিন রাত সেবা দিয়ে গেছে।দূর দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের হলে থাকার জন্য করে দিয়েছে সুব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পরিচালনায় পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের দিক-নির্দেশনা দিতে কাজ করছে বিএনসিসি ক্যাডেট ও রোভার স্কাউট সদস্যরা। দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে সতর্ক অবস্থানে ছিলো বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।নিরাপত্তা চাদরে মোড়া ছিলো পুরো ক্যাম্পাস। এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাস সেজেছিলো রঙ্গিন সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক এলাকায় বসেছিলো ছেলে-মেয়েদের বাহারি পোশাকের দোকান, কুঠির শিল্প, নানা পদের খাবার এবং শীতকালীন পোশাকের দোকান। আগত শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকরা খাবার ও পোশাক কিনেছেন। বই প্রেমিরা ভিড় জমিয়েছেন বইয়ের দোকানে। অপর দিকে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নজির বিহীন সচ্ছতা ও কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছিলেন। এতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে পরীক্ষা দিয়েছে। অভিভাবকরা নির্বিঘ্নে সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির তৎপরতা ও প্রশাসনের আন্তরিকতায় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতা আগত অতিথিদের কেড়েছে। চট্টগ্রাম থেকে একমাত্র মেয়ে সেতুকে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে আসেন সাইদুর রহমান। তিনি বলেন,বাড়ি থেকে চিন্তা নিয়ে রওনা হলেও ক্যাম্পসে এসে কোন সমস্যা পোহাতে হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। মেয়েকে শেখ হাসিনা হলে থাকার ব্যবস্থা করেছে সে হলের মেয়েরা। আমি ছিলাম জিয়া হলে। নেত্রকোনা থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা রিমন বলেন,‘থাকা খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হয় নি।হলের ভাইরা নিজের বিছানায় আমাদের থাকার সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন।নির্বিঘ্নে লেখা-পড়া করে পরীক্ষা দিয়েছি। /আরএ Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: ইবি পরিবাবের আন্তরিকতায় মুগ্ধ ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ