ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ জনের মৃত্যু, এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের মরিচপাড়া গ্রাম এখন মানুষশুন্য। একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ঘরছাড়া করেছে ওই এলাকার মানুষকে। এছাড়াও গত সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত পরিবারের চারপাশে এককিলোমিটার ব্যসার্ধ জায়গায় মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ওই এলাকার একটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকার মানুষগুলো নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নিদের্শনা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ঢাকা থেকে আসা মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে যদি এলাকায় মানুষ চলাচলে নিরাপদ মনে করেন, তাহলেই চলাচলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেয়া হবে। এদিকে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারসহ আরও ৭ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর আগে এই রোগে প্রথমে আক্রান্ত হন ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫)। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আবু তাহের মারা যান। তার মৃত্যুর ১১ দিন পর একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান আবু তাহেরের জামাতা হাবিবুর রহমান (৩৫) ও স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান (২৭) অসুস্থ হলে রংপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে ইউসুফ সকালে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯ টায় মৃত্যুবরণ করেন মেহেদী। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমানে মৃত ইউসুফের স্ত্রী কোহিনুর, তার কন্যা সন্তান, শ্বশুড় রবিউল ইসলাম, আত্মীয় সাবেক ইউপি সদস্য, মাসুদ রানা নামে এক প্রতিবেশী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোতালেব চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজের নেতৃত্বে একটি চিকিৎক দল ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, “কী কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আপাতত এটাকে অজ্ঞাত রোগ বলছি।” তিনি বলেন, “এই অজ্ঞাত রোগটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসবেন। আশা করি দুই এক দিনের এই অজ্ঞাত রোগের কারণ বলা যাবে।” অজ্ঞাত রোগের লক্ষণ বিষয়ে তিনি বলেন, এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রথমে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। একই সাথে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা এবং গলা বসে যায়। /আইকে Comments SHARES Uncategorized বিষয়: