শিক্ষক সংকটে পাঠদানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি

প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: শিক্ষক সংকট নিরসনে কর্তপক্ষের সহায়তা না পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজেই পাঠদানে নেমেছেন।

ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ে শুণ্য পদ পূরণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৬টি শ্রেণিতে ২৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষক রয়েছে মাত্র দুই জন। ডেপুটেশনে রয়েছেন আরেকজন। প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৩ জনের পক্ষে স্বাভাবিক পাঠদান প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ৩ টি পদ শুন্য রয়েছে। সংকটের মধ্যেই বিদ্যালয়টি চলছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকারি এই বিদ্যালয়ে ঠিক মতো ক্লাস হয় না। শিক্ষক সংকটের কারণে একেবারেই শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ছাত্র ছাত্রীরা ইচ্ছামতো চলাফেরা করে। ইচ্ছা হলে শ্রেণি কক্ষে যায়। আবার ইচ্ছা হলেই মাঠে খেলা শুরু করে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুমেল রহমান রনি পাঠদানে নেমে পড়েছেন। তিনি সুযোগ পেলেই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহিমা আক্তার জিলানী জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বিগত দিনে শিক্ষক সংকটের ব্যাপারে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। তিনি অফিসিয়িাল কাজে বাইরে গেলে শিক্ষকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ে।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুমেল রহমান রনি জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের দুরাবস্থা সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু কোন সমাধান মিলছে না। স্কুলটি গ্রামে হওয়ায় কেউ ডেপুটেশনেও আসতে চাইছেন না। কোনো শিক্ষক অফিসিয়াল প্রয়োজনে বাইরে গেলে বিপাকে পড়তে হয়।

শিক্ষক সংকট নিরসনে কর্তপক্ষের কোন সহায়তা না পেয়ে তিনি নিজেই পাঠদানে নেমেছেন বলে জানান। মাঝে মধ্যেই স্কুলে তাকে সময় দিতে হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কর্তপক্ষ জোরোলো ভুমিকা পালন করলে এখানে শিক্ষক সংকট নিরসন সম্ভব।

যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক তাকে জানিয়েছেন।

তিনিও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছেন। শুণ্য পদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ডেপুটেশনে শিক্ষক পাঠানোর জন্য ব্যাপারে চেষ্ঠা চলছে।

/আরএ

Comments