কার্যকর পরিবহন আইন ও শিক্ষার্থী হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি ইশা ছাত্র আন্দোলনের

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯

একুশ প্রতিবেদক: সড়কে অব্যাহত হত্যা বন্ধ ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানববন্ধন করে চলমান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের শীর্ষ সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

শিক্ষার্থীদের আন্দেোলনে সংহতি ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিদে আজ ২১ মার্চ ’ বৃহস্পতিবার দুপর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে ইসলামী শাসতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর।

মানবন্ধনে সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল ছাত্রনেতা মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, রাস্তায় অদক্ষ ড্রাইভারদের গাড়ি চালানোর ঘৃণ্য প্রতিযোগিতায় হিংস্র প্রাণির ন্যায় বেপরোয়া গাড়ি চাপায় প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। এটা কেবল একটা অকার্যকর রাষ্ট্রেই সম্ভব।

তিনি বলেন, সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ড্রাইভারদের কোন প্রকার নিয়ম শৃংখলায় আনতে পারছে না। সরকারের অযোগ্যতা ও পুলিশ প্রশাসনের সীমাহীন দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের।

মালিক, শ্রমিক ও চালকদের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সরকার এদের দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। খোদ মন্ত্রী-এমপি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সড়ক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না।

মুস্তাকিম বিল্লাহ আরো বলেন, যদি কোনো চালকের অদক্ষতা ও উদাসীনতার কারনে দুর্ঘটনা ঘটে তবে তা সাধারণ মৃত্যু বলে বিবেচিত হবে না বরং এটা স্পষ্ট হত্যাকান্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা এধরণের হত্যাকান্ডে জড়িত ড্রাইভারদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী পেশ করছি।

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মুহাম্মাদ মনোয়ার হুসাইন, উত্তরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ইমরান ও পূর্বের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান মাহদীসহ অন্যান্য নগর নেতৃবৃন্দ।

বক্তাগণ নিরাপদ যাতায়াতের জন্য কঠোর নীতিমালা ও পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

/আরএ

Comments