তনু হত্যার ৩ বছর; হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু হত্যার আজ ৩ বছর। এখনো গ্রেফতার হয়নি আসামী। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহানকে। ঘটনার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে আজ বুধবার তার সহপাঠী ও তার কলেজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন ব্যানারে কর্মীরাও অংশ নেয়।

বুধবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। তনু ওই বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। এরপর তারা ভিক্টোরিয়া কলেজ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সালে মানববন্ধনে জমায়েত হয়।

বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র তনুর ক্লাসমেট মো. সালামসহ শিক্ষার্থী বলেন, তনু বেঁচে থাকলে আমাদের সাথে অনার্স ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষা দিতেন। পরীক্ষায় আমাদের জীবন নিয়ে যেমন স্বপ্ন আছে, তারও অনেক রঙ্গিন স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় আজ থেকে তিন বছর পূর্বে ঠিক এই দিনটিতে।

তিনটি বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলতে হয় তনুর মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমরা হত্যাকারীদের শনাক্ত এবং মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সিআইডি অফিসের কাছে জানতে চাইলে তারা শুধু তদন্তের কথাই বলে।

ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রোবেল মজুমদার বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের কথা কারো কানে যাচ্ছে না। তনুর হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা দাবি করেই যাবো।

এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের উদ্যোগের তনুর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়।

এদিকে বুধবার দুপুরে কুমিল্লা কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কুমিল্লা জেলার সভাপতি ফারজানা আক্তার বলেন, তনু হত্যার তিন বছর পার হলেও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়নি। তনুর মা দুইজন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। তারপরও সিআইডি তদন্তের নাম দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার সদস্যরা বিকালে কান্দিরপাড়ে মানববন্ধন করেন।

/আরএ

Comments