রংপুর সুগার মিলে ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি; ক্ষতিগ্রস্ত আখচাষীরা

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৯

রেজুয়ান খান রিকন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড। এ মিলটি গত ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে (২০১৮-২০১৯) মৌসুমে আখ মাড়াইয়ের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে মিলটি চালু হয়।

মিলটি যথাযথ অভারহোলিং ও ট্রায়াল না করে চালু দেওয়ায় মিলটি চালুর ২০ মিনিট পরেই যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে যায়। সে ত্রুটি সেড়ে ৪ দিন পর ১১ ডিসেম্বর পুনরায় চালু দেওয়া হয় মিলটি। অতপর মিলটি চলতে থাকলে ২৪ ডিসেম্বর পুনরায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।

ত্রুটি সাড়তে সপ্তাহখানিক সময় লেগে যায়। ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আখচাষীরা। রংপুর সুগার মিলস লিমিটেডর সাবজোন গোবিন্দগঞ্জের ৩৯ নং বোয়ালিয়া কেন্দ্রের আখচাষীদের সাথে কথা উপরোক্ত তথ্যগুলো জানা যায়। আখ চাষী আলামিন জানায় ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটিতে মিলের আখ মাড়াই কাজ বন্ধ হওয়ায় আমাদের আখ মিল গ্রহণ করে না এতে জমি থেকে কেটে ফেলা আখগুলো শুকিয়ে ওজনের ঘাটতি হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা।

একই কেন্দ্রের অপর একজন আখচাষী দুদু মিয়া জানায় মিল চালু হওয়ার ২০ মিনিট পর যান্ত্রিক ত্রুটিসহ তারপর কয়েক ধাপে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে আমাদের আখ গ্রহণ করা হয়নি। তিনি জানান গত ৫ ডিসেম্বর মিল কর্তৃপক্ষ আবারো জানায় মিলের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে আগামী ৩/৪ দিন আখ গ্রহণ করা হবেনা।

আজ ৮ ডিসেম্বর মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন শুধু আগামীকাল একদিন আখ গ্রহণ করার পর পুনরায় মিলের যান্ত্রিক ত্রুটি সাড়ানোর জন্য আগামী ৩/৪ দিন আখ গ্রহণ বন্ধ থাকবে। এমন্তাবস্থায় তাঁর কেটে ফেলা ২০০ মণ আখ শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে শুধু দুদুই নয় এরকম কয়েকশত আখচাষী শত শত টন আখ শুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

পুরো একটি বছর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নানা পরিচর্যার মাধ্যমে ফলানো আখ শেষ সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হোক এমনটা চাননা তারা। তাই ক্ষতিগ্রস্থ এসকল আখচাষীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলছে ১৯৫৭ সালের যন্ত্রাংশ দিয়ে এখনো মিল চালানো হচ্ছে। তারা বলছে মিলের যন্ত্রাংশগুলোর কার্য ক্ষমতা আর নাই তাই এ সকল যন্ত্রাংশ দিয়ে লবণ বদল অথবা কটকটি বদলের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা চিনিকলটির পুরনো যন্ত্রাংশ সরিয়ে আধুনিক যন্ত্রাংশ স্থাপনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করার দাবী জানিয়েছেন।

রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড গোবিন্দগঞ্জ সাবজোন ৩৯ নং কেন্দ্রের কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান রঞ্জু আখ মাড়াই মৌসুমের শুরু থেকেই মিলের ঘন ঘন যন্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

/সিএইচ

Comments