প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস ১২ লাখ টাকার বিনিময়!

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯

একুশ নিউজ: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২১ সদস্যকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার আগে শুক্রবার (২৪ মে) সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পৌর শহরের কিডস ক্লাব সেন্টার থেকে ২৮ জনকে আটক করে র‌্যাব-৬।

‌র‌্যাব জানায়, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা, ১৫ জন পরীক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক। এরা ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে একেক জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মূল হোতা পাঁচজন হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার পরানখালি গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রামের জনতা ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান, একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ নুর সালেহীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার পাশে সোনালী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘প্রতারক চক্রটির কাছ থেকে যে প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

আমরা জানতে পেরেছি ঢাকায় বসে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে।

এসব প্রশ্ন ও উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এ জন্য সিন্ডিকেটের হাতে আগাম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা ছিল।’

উল্লেখ্য, চার ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথমধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আজ শুক্রবার (২৪ মে)। দ্বিতীয়ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মে। তৃতীয়ধাপ ২১ জুন ও চতুর্থধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় ২৪ লাখ ১ হাজার ৯শ’১৯ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছে।

এএ/

Comments