হাবিপ্রবি: ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলি, আহত ৫০ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৯ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে প্রায় ৫০ ছাত্র আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে মামুন-উর রশিদ মামুন, শংকর রায়সহ কয়েকজনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ রাসেল আবাসিক হলের দুজন ছাত্রের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নাহিদ আহমেদ নয়নসহ কয়েকজন মিলে জোরপূর্বক দুজনকে কক্ষে তুলে দিতে যায়। এ সময় শেখ রাসেল হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি রুহুল কুদ্দুস জোহা এবং হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদুল আলম রনি তাদের বাধা দিতে যান। একপর্যায়ে নয়ন গ্রুপের ছেলেরা দেশীয় অস্ত্রসহ জোহা গ্রুপের ওপর চড়াও হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় নয়ন একটি আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) দিয়ে তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জোহা গ্রুপের সঙ্গে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যোগ দিলে নয়ন গ্রুপ পিছু হটতে শুরু করে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রনেতা জানান, নয়নের ছাত্রত্ব না থাকলেও সে ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে অবস্থান করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে । এর আগে সে ক্যাম্পাসের এক আনসার সদস্যকে মারপিট ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের হুমকি প্রদান করে। শেখ রাসেল হল সভাপতি রুহুল কুদ্দুস জোহা বলেন, আমি হলের সভাপতি, আমাকে এবং হলের অন্যান্য পদধারী নেতাকর্মীদের না জানিয়ে নয়ন জোরপূর্বক কক্ষে ছাত্র থাকা অবস্থায় অন্যদের সেই কক্ষে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি ও হলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা মিলে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং সংঘর্ষ বাঁধে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের একপর্যায়ে আমাদের সাথে ছাত্রলীগ সমর্থনকারী ছাত্ররা একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের সবাইকে প্রতিহত করলে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির সাবেক ছাত্র নেতা নয়ন বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি’। সংঘর্ষের বিষয়ে হাবিপ্রবির প্রক্টর ডা. মো. খালেদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। ছাত্রলীগের হল শাখার দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষতিয়ে দেখব।’ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, নয়নের ছাত্রত্ব নেই। ঘটনাটি আমি শুনে কিছুটা অবাক হয়েছি। একজন প্রকৃত ছাত্র কিংবা ছাত্রলীগ আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারে না। এটা মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। নয়নকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব সন্ত্রাস বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই ভালো চোখে দেখে না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, প্রশাসনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আলোচনা চলছে। Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: