সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

রেদওয়ানুল ফেরদৌস রনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরেই জেলার নারী উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে চলেছিলো একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেটের দুর্নীতির রাম-রাজত্ব। আলোচিত সিন্ডিকেটটি দুর্নীতি অনিয়ম ও কোচিং পার্টি হিসেবে ব্যাপকভাবেই পরিচিত ছিলেন। আর এই সিন্ডিকেটটির মূল নেতৃত্বে ও নৈপথ্যে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অন্যতম। তার অনৈতিকতার অভিযোগ পাহাড়সম।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অধ্যক্ষ ড. হোসেন সোহরওয়ার্দির অবসরের পর অধ্যক্ষ হিসাবে ২ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ আব্দুল খালেক। এবং ৫ সেপ্টেম্ব ২০১৯ তিনি অবসর গ্রহণে যান তিনি। যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীর পরস্পর যোগসাজসে শুরু হয় কলেজে তার মনগড়া নিয়ম-নীতি, এবং কলেজ ফান্ড থেকে নিয়ম বর্হিবভ‚ত ভাবে প্রায় ১ কোটি টাকা লুটেপুটেই তিনি গড়েছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়।

তার অনিয়ম, দুর্নীতি বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রচুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদের জের ধরে ও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে সরকারের বেশ কয়েকটি দপ্তর থেকে তদন্ত করতে এসছিল একটি টিম।

এমন অভিযোগ থাকলেও বরাবরই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক নীরবতা পালন করে চলেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক ধারণা করে বলছিলেন যে, উক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও তাদের চাহিদা মাফিক হিস্যা পেয়েছিলেন।

খালেকের পক্ষে রিপোর্টও নাকি তারা দিয়েছিলেন। তাই তার অনুগত অনুসারীদের পরামর্শক্রমে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, অনলাইন নিউজ পোর্টাল টাইমস্ অব সাতক্ষীরার সম্পাদক রামকৃষ্ঞ চক্রবর্তী ও নির্বাহী সম্পাদক জাকির হোসেন মিঠু, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী ও চীফ রিপোর্টার মুনসুর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে (৫০০ ও ৫০১ ধারায়) ৪০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন। যা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,আমলী আদালত-০১,সাতক্ষীরার বিচারক হুমায়ন কবীর শুনানি অন্তে তদন্তভার জেলা তথ্য অফিসারের কাছে দিয়েছিলেন।

মামলার বিষয়ে এখনও তদন্ত চলমান রেখেছেন তিনি। আরও জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে রয়েছে কৃষি শিক্ষার শিক্ষক না থাকলে প্রাণীবিজ্ঞান বা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষকরাই পাঠদান করাতে পারবেন এবং ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক না থাকলে ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষকরাই পাঠদান করাতে পারবেন।

অন্যদিকে একাদশ শ্রেণির আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক না থাকলে পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষকরাই আইসিটি বিষয়ের পাঠদান করাইতে পারবেন। তবে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র উপেক্ষা করে তার বিভিন্ন অপকর্মের একান্ত সহযোগী আইসিটির খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ হাবিবুল্লাহ ও ইসলাম শিক্ষা ও কৃষি শিক্ষার খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ আক্তারুজ্জান কে নিয়োগ দিয়েছিলেন এই সাবেক অধ্যক্ষ।

এবং তাদের কলেজ তহবিল থেকে সম্মানী হিসাবে ১৬০০ টাকা প্রদানের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতেন তিনি। হাবিবুল্লাহ ভুগোলের সহকারী অধ্যাপক হলেও প্রায় সময় বাড়িতে আইসিটির কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ১১ টার পরে কলেজে আসতেন। এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হওয়ায় কোন ক্লাস ছাত্রীদের না নিয়ে বরং আইসিটি নিয়ে পড়ে থাকতেন।

অন্যদিকে সাবেক অধ্যক্ষ খালেকের আস্থাভাজন হওয়ায় আক্তারুজ্জামান এম.ফিল করার কারণে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ উক্ত ছুটি লিখিতভাবে গণ্য করতেন না। সরকারি চাকুরীর বিধি অনুসারে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করার বিধান রয়েছে।

তবে মোঃ আক্তারুজ্জামান প্রতি সপ্তাহে তিন দিন কলেজে অনুপস্থিত থাকতেন বিষয়টি জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবং একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হওয়ার সত্ত্বেও তাকে দিয়ে সাবেক এই অধ্যক্ষ একাদশ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ও ইসলাম শিক্ষা ও হাবিবুল্লাহ কে দিয়ে আইসিটির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পাঠদান করান। যা বিধি সম্মত নহে। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষক, অভিভাবক এমনকি সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাঈদ বাদী হয়ে অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ), দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনা-এর উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতগুলো দপ্তরে অভিযোগ করার পরও দুর্নীতিবাজ এ অধ্যক্ষ অবসর গ্রহণ করেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরও তিনি দাপটের সাথে বলছেন যে বাংলাদেশে এমন কোন কর্মকর্তা নেই যাকে তিনি ম্যানেজ না করছেন। আব্দুল খালেক ও তাঁর কাছের শিক্ষকদের রোষানল এবং অত্যাচারের ভয়ে আরও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, সাবেক অধ্যক্ষের নানাবিধ অত্যাচারে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষকই অতিষ্ট। এমনকি কর্মচারীরা পর্যন্ত অতিষ্ট। কিন্তু অধ্যক্ষের কারনে ভয়ে ভয়ে থাকে সবাই। কলেজের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে তিনি চালিয়ে গিয়েছিলেন সরকারি রাজস্ব ফাঁকির রাজত্ব। তাঁর পকেটস্থ থাকা কয়েকজন শিক্ষককে দিয়েই তিনি কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রমের আর্থিকসহ বিভিন্ন উপ-কমিটিও করে দিয়েছিলেন। যেন আজ্ঞে হুজুর করে তারা সকল কাজ করে দেয়। এর ফলে ওই শিক্ষকগুলো আবার ক্ষমতা খাটায় অন্য শিক্ষকদের উপর। ভাবটা এমন যেন অধ্যক্ষের কাছের মানুষ হওয়ায় তারাও এক একটা অধ্যক্ষের মত শক্তিশালী অধ্যক্ষ ছিলেন। তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত যতবার কলেজে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করতে সরকারি কর্মকর্তাগণ এসেছেন তিনি ততবার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মোটা খাম ধরিয়ে দেন।

এ কারণে নাকি তার বিরুদ্দে অভিযোগের পাহাড় থাকার সত্তে¡ও তিনি দাপটের সাথে বলছেন যে খাম দিয়ে সকলকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। এ দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মনে ভয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে আব্দুল খালেকের আচারণ দেখে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি যেসব শিক্ষকদের সন্দেহ করেছিলেন তাদের কামরায় ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন দুর্নীতিবাজ সাবেক এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পরোক্ষভাবে তার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন ও নিরাপরাধ শিক্ষকদের এক ধরণের চাপের মধ্যে ফেলে রেখেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ, অভিভাবক ও এলাবাসীগণ বলছেন যে, বর্তমানে দেশে আইন থাকলেও,বিচার থাকলেও।

এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরাই এড়িয়ে গিয়েছিলো। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে মোঃ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তহবিল তছরুপ করা, স্বেচ্চাচারিতা, ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ ও হয়রানী, নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা, পরিপত্র উপেক্ষা করে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অযুহাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, একাডেমিক ভবনের বরাদ্দের টাকা দিয়ে মসজিদ ঘর সম্প্রসারণ, কোন ছাত্রী একদিন হাজির না থাকলে তাকে ৫০ টাকা জরিমানা করে জরিমানার টাকা কলেজ তহবিলে জমা না রেখে নিজে আত্মসাৎ করা, তার কারণে ছাত্রী সংখ্যা দিনের পর দিন কমে গিয়েছিলো , কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারীদের পরস্পর যোগসাজসে ভূয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করা ইত্যাদি কারণে স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। কিন্তু সবই যেন বৃথা হয়ে যাচ্ছে আব্দুল খালেকের কাছে।

মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম এর অধীনে এম.ফিল করছি। এবং খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে একাদশ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ও ইসলাম শিক্ষার ছাত্রীদের পাঠদান করাই। তবে ছুটি ও খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এখন আমি ব্যস্ত কথা বলতে পারবো না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি শুনেছি আক্তারুজ্জামান এমফিল করছে। সে নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছে। এবং প্রায় শনিবার কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। তার ক্লাস অন্য শিক্ষকরা নিয়ে নেয়।

তবে মোট কত দিন নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের পাহাড়সম অপরাধের বিষয়ে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ডা. মো. মুনসুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলাদেশ গড়তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অফুরন্ত ও অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার চেষ্টার ফল ভোগ করছেন বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ।

দেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে। এ উন্নয়ন কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ খালেকের মতো কিছু অসাধু ব্যক্তিরা যদি বে-আইনী কাজের মাধ্যমে সরকারকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করে থাকে তা রাষ্ট্রীয় অপরাধের সামিল। যা একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালে করতে পারে না। দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে এসব ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করি।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ডাঃ আবুল কালাম বাবলা জানান, বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় জেলা সাতক্ষীরা। জেলার সকল পর্যায়ে যত দুর্নীতবাজ ব্যক্তি আছে, তাদের চিহ্নিত করে দুর্নীতির মূল উপড়ে ফেলার জন্য তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম জানান, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ আক্তারুজ্জামান বিগত একবছর আমার অধীনে এম.ফিল করছে। সে শুক্রবার ও শনিবার ক্লাস করেন। তবে কিভাবে কলেজ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্লাস করে তা বলতে পারবো না। তবে এতটুকু বলতে পারি সে প্রথম পার্ট পরীক্ষায় ৬০ এর বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর দ্বিতীয় পার্টেও এম.ফিল করার উপযোগী হয়ে গিয়েছেন। যেকোন সময় কোর্স ফি দিয়ে এম.ফি দ্বিতীয় পার্টে ভর্তি হতে পারবে।

অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের ০১৭১৬২৯৯২৬৪ ও ০১৭১৮১৩৪৮৬৬ নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। দুর্নীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া রাষ্ট্রীয় অপরাধের শামিল। তাই অভিযোগটি খুবই গুরুতর। যা সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সুনাম ক্ষুন্নের পাশাপাশি জেলার মানুষেরও সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালে কেউ এমন কাজ করতে পারে না। অন্যদিকে, এই সাবেক অধ্যক্ষের অপকর্মের আরেক একনিষ্ঠ সহযোগি ভ‚গোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ হাবিবুল্লাহ হওয়ায় একাদশ, দ্বাদশ ও অনার্সের বিভিন্ন বর্ষের ঠিকমত ক্লাস নেননা।

তিনি সব সময় অধ্যক্ষের বিভিন্ন অপকর্ম ধামাচাপাদিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকতেন। এবং আইসিটি ও আইসিটির কোচিং ব্যবসা নিয়ে বাড়িতে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তার এসব কর্মকান্ডে ছাত্রী ও অভিভাবকরা হতবাক হলেও সাবেক তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতেন সাবেক এই অধ্যক্ষ। তাই তাদের সাতখুন মাপ করেছিলেন তিনি।

ভুগোর বিভাগের অন্য দুইজন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে শ্রেণি পাঠদান সম্পর্কে সিন্ডিকেটের হোতা সাবেক অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তাদের খাগড়াছড়িতে বদলীর হুমকীও দিয়েছিলেন। তাই দুর্নীতিবাজ ও অর্থআত্মসাৎকারী ব্যক্তিকে কোন ভাবে ক্ষমা না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের মাধ্যমে খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করেন সাতক্ষীরার সকল-শ্রেণি-পেশার সচেতনমহল।

Comments