মির্জাপুরে ৫ মিনিটেই বিদ্যুৎ সংযোগ

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯

তুষার সান্যাল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আলোর ফেরিওয়ালা ফেরি করে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন।

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই শ্লোগানকে সত্যিকার অথের্ই বাস্তবায়ন করতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফেরি করে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।

জামানত জমাদানের মাত্র ৫ মিনিটেই পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ গ্রাহকের বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও তার সংযোগ দিয়ে ঘরে বাতি জেলে দিচ্ছেন। গ্রাহকদের এখন আর বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝামেলা মুক্ত ভাবে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের এমন উদ্যোগ্যটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেই সঙ্গে তাদের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সাধারন মানুষ।

উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভ্যানগাড়িতে ফেরি করে গ্রাহকদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। তারা এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন আলোর ফেরিওয়ালা।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিস সূত্র জানায়, মির্জাপুর পৌরসভা ও মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা,ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, গোড়াই, লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা ও বাঁশতৈল এই ১৪ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে আলোর ফেরিওয়ালা ভ্যানগাড়িতে ড্রফ তার ও মিটার নিয়ে গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন।

অফিস সুত্র জানায়, মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের আওতায় মির্জাপুর উপজেলায় ৯৫ ভাগ গ্রাহক বিদ্যুুৎ সংযোগ পেয়েছেন। দুটি জোনাল অফিসের মাধ্যমে এ পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার। যে ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে আগামী (৫-৬) মাসের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎ ঘোষনা করা হবে।

আলোর ফেরিওয়ালার ভ্যানগাড়িতে মিটার ও ড্রফ তার নিয়ে সংযোগ দিয়ে আসছেন। এইসেবার আওতায় একজন গ্রহকের বাড়িতে ড্রফ তারের দুরত্ব ১৩০ ফুট, দুই কপি ছবি, গ্রাউন্ডিং রড ও মিটার বোর্ড দিয়ে ঘর ওয়ারিং, ভ্যাটসহ আবেদন ফি ১১৫ টাকা, নিরাপত্তা জামাতন ফি ৪০০শ টাকা এবং সদস্য ফি ৫০ টাকা জমাদানের ৫ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

গোড়াই নাজিরপাড়ার বাসিন্দা ছাত্রনেতা খন্দকার নাইম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়া এখন হাতের নাগালে।

গ্রাহককে এখন বিদ্যুুতের জন্য দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ঘুরতে হয় না। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন গ্রাহকদের খুঁজে বের করে ঝামেলামুক্ত ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। তিনি ৫ মিনিটেই তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুুৎ মির্জাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মোর্শেদুল ইসলামের বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একাব্বর হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও প্রচেষ্টায় মির্জাপুরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রাহকদের শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একাব্বর হোসেন বলেন, মির্জাপুরে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া এটা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুত ছিল। সেই লক্ষ নিয়েই কাজ করা যাচ্ছি। আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে মির্জাপুরে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

/আইকে

Comments