কুবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

খোরশেদ আলম, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মশার উপদ্রব বৃদ্ধির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও নিয়মিত মশা নিরোধক ওষুধ স্প্রে না  করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে; এমনটাই মনেকরছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবাসিক হলগুলোর পাশের ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার নয়। ফলে বিকেল গড়ালেই শুরু হয় মশার অত্যাচার। মশার কামড়ে বাবুই চত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চসহ পুরো ক্যাম্পাসে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের বসাই দায় হয়ে গেছে।

কথা হয় কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী চাই মং মারমা’র সাথে। তিনি বলেন, মশার উপদ্রবে বসে একটু পড়াশোনা করতে পারি না। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিগগিরই আবাসিক হলগুলোতে মশা নিধনে কাজ করবে।

ক্যাম্পাসে বিদ্যমান ঝোপ-ঝাড়, ড্রেন বা আবদ্ধ জায়গায় জমে থাকা পানি, বিভিন্ন স্থানে থাকা ময়লা-আবর্জনা মশা বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান।

তিনি বলেন, মশা থেকে ডেঙ্গু জ্বর, হাত-পা ফোলাসহ নানাবিধ রোগ হতে পারে। তাই মশার কামড় থেকে বেঁচে থাকতে প্রচলিত কয়েল, স্প্রে ও ঘুমানোর সময় মশারি টানানো জরুরি।

এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী ওমর সিদ্দিকী জানান, কিছুদিন পরপরই আমি হলে স্প্রে করিয়ে থাকি। ইদানিং মশা উপদ্রব বেড়ে থাকলে দু-একদিনের মধ্যেই আবারও স্প্রে করা হবে।

মশা নিধনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার দপ্তরের এস্টেট শাখার সহকারি রেজিস্ট্রার মো: মিজানুর রহমান জানান,বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলটি সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে হওয়ায় মশা নিধনে ব্যবহৃত সিটি কর্পোরেশনের স্প্রে আমরা আনাতে পারছি না।

তবে এ ব্যাপারে আমি রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

/আরএ

Comments