যবিপ্রবিতে ছাত্র রাজনীতি স্থগিত, বহিষ্কার ১

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯

যশোর প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবির) ছাত্র রাজনীতি স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৫৩তম (বিশেষ) সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া, উচ্ছৃঙ্খল ও অছাত্রসুলভ আচরণ প্রমাণ হওয়ায় ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এস এম একরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের ৫৩তম বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

সভায় অ্যান্টি-র‌্যাগিংয়ের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন রিজেন্ট বোর্ডে গ্রহণ করা হয়। এ তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

একইসাথে ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পেসের বাইরে র‌্যাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় এবং তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ রিজেন্ট বোর্ডকে অবহিত করার প্রয়োজন নেই বলে তাঁরা অভিমত দেন। রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন রিজেন্ট বোর্ডকে অবহিত করেন, অনেক আগেই তাদের দাবিসমূহ পূরণ করা হয়েছে এবং কার্যকরও করা হয়েছে। সভায় অছাত্রসুলভ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রমাণ হওয়ায় ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এস এম একরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, হলের অভ্যন্তরেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর অবস্থান এবং প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উত্তরপত্র মূল্যয়ণেসহ ইতিপূর্বে শৃঙ্খলাবিরোধী নানা কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রডাক্টশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সম্রাট কুমার দে-কে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

/সিএইচ

Comments