ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাবিতে ৫ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৯ আল আমীন, জাবি প্রতিনিধি: বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সোমবার (১ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আল-রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মুশতাক সৈকত। এদের মধ্যে সঞ্জয় ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের ও বাকিরা ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচ কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া ছিনতাই ও মারধরের বিষয়টি তাঁদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক আলমগীর হোসেনের জামাতা মনির হোসেন তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বিশমাইল এলাকার সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে আটক করে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে মনির হোসেন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে ইজিবাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সেখানে তারা মনির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁরা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। কর্মচারীরা তাঁদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। মনির হোসেন ঘটনার বিচার চেয়ে ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। /আরএ Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: