জবিতে কমিটি স্থগিতের পর তরুণ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের শো-ডাউন নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯ চয়ন, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগ কমিটি স্থগিতের পর উজ্জীবিত শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সৈয়দ শাকিল, নুরুল আফসার ও নাহিদ পারভেজের নেতৃত্বে পুরো ক্যাম্পাসে মহড়া দেন শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কমীরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন বলে তারা জানান। এসময় ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত ও নিরাপত্তা দান করে শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা দিন দিন মাদকের দিকে ঝুকে পড়ছে। এসব শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য থেকে দুরে রাখার জন্য ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা জানান। জানা যায়, তরিকুল-রাসেল কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর তাদের কর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরে। আধিপত্য বিস্তার, প্রেমঘটিত বিষয়, ছিনতাই, ও তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসকে করে তুলে অস্থিতিশীল। ফলে নিস্ক্রিয় হয়ে পরে ক্লিন ইমেজের জবি ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী। কর্মীদের নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে নিত্যদিন মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং নিরাপত্তাহীন হয়ে পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অপকর্ম ও সংঘর্ষের ঘটনার বিচারের নামে ক্লিন ইমেজের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে বহিস্কার করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে। এমন এক ঘটনার স্বীকার হয়ে বহিস্কার হওয়া ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমি নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হয়েছি। রাসেল ভাইয়ের (স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক) কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। আমরা শোভন ভাইয়ের রাজনীতি করায় তারা সহ্য করতে পারেনি। রাসেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় সহজে বহিস্কার করতে পারেন। যে ঘটনার জন্য আমাদের বহিস্কার করা হয়েছিল আমরা কেউ সে ঘটনার সাথে জড়িত নই। কমিটি বহাল করার বিষয়ে জানতে চাইলে আশিক বলেন, এ কমিটি দিয়ে অনেক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। কোন দিন এক বড় ঘটনা ঘটলে কে দায় নিবে? তিনি নতুন কমিটি গঠন করার জন্য আহ্বান জানান। স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও পাওয়া যায়নি। স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসে শোডাউন নিয়ে বলেন, আমি শুনেছি ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কিছু কর্মী ক্যাম্পাসে দুদিন ধরে শোডাউন দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমাদের কার্যক্রম বন্ধ সেহেতু এখন এটার দেখা-শুনার ভার সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের। আগে কিন্তু এসব কর্মীদের দেখা যায়নি বলে উল্লেখ্য করেন তিনি। নেতা-কর্মীরা তাদের রোষানলে পড়ার কথা বললে তিনি বলেন, যারা অপকর্মে জড়িত তারা শাস্তি পেয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় আমরাও রোষানলে পড়েছি। উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারী প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা। সংঘর্ষের ফলে ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়। এ ঘটনার জেরে সকল কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। এর আগেও অনেকবার বিতর্কিত হয়েছিল মেয়দউত্তীর্ণ তরিকুল-রাসেল কমিটি এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২৫ এর অধিক কর্মী বহিস্কার করে প্রশাসন। /সিএইচ Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: