ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বিরোধী মিছিল

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯

মুরতুজা হাসান নাহিদ, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‍্যাগিংয়ের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন বিরোধী র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে র‍্যালি বের করা হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

আলোচনসভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আনিচুর রহমান প্রমুখ।

আলোচনাসভায় বক্তরা বলেন, র‍্যাগিং আসলে একধরনের পরিচিতি পর্ব তবে বর্তমানে র‍্যাগিং এর নামে যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় সেটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। আর র‍্যাগিংয়ের নামে কাউকে নির্যাতন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিবে।

এ ব্যাপারে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের হাবিবুর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, র‍্যাগিং বলতে আমরা পরিচিত হওয়াকে বুঝি, কিন্তু বর্তমানে র‍্যাগিং এর নামে যা হচ্ছে তা একরকম অমানবিক। নতুনদেরকে অনেকভাবে হেনস্তা করা হয় যা আসলে ঠিক না। এতে করে নবীনরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়।

ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পারভেজ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের প্রথম ধাপেই র‍্যাগিং এর শিকার হইলে অনেক শিক্ষার্থী ডিপ্রেশনে চলে যায়। যা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে বড় অভিশাপ হতে পারে।

পুর্বাশা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমে নবীনরা অভ্যর্থনার বদৌলতে একরকম হেনস্তার শিকার হচ্ছে। নতুন জায়গায় বড়দের কাছে এরকম আচরণে অনেক শিক্ষার্থীই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে থাকে। তাই এর প্রতিকার এখন সময়ের দাবি।

মেহেদী হাসান নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন,বিভাগের বড় ভাইয়া আপুদের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য র‍্যাগিং হলো একধরনের প্রচলিত পদ্ধতি। করে কিন্তু র‍্যাগিং এর নামে যেভাবে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হচ্ছে তা একধরনের অন্যায়। আমরা এর প্রতিকার চাই এবং আমি চাই পরে যাতে আর কোন ছোটভাই র‍্যাগিং এর শিকার না হয়।

/আরএ

Comments