কেক কেটে ও আনন্দ র‌্যালি করে ইবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯

মুরতুজা হাসান নাহিদ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ মার্চ) নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টায় জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এর পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।

এ সময় তার সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ প্রমুখ। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, হল, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী।

এই গ্রহ সবার এটা কোনো বিশেষ গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণের মানুষের নয় উল্লেখ্য করে তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ও চেতনায় নিজেদেরকে গড়ে তোলবার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে, নিউজিল্যান্ড মসজিদে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও ধিক্কার জানান এবং দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, যতদিন বাংলদেশ থাকবে ততদিন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কাল উত্তীর্ণ মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি আদর্শ বংশ পরমপরায় চলে যাবে। তিনি দেখিয়েছিলেন যে বাঙালি জাতি বীরের জাতি।

তাদেরকে শত বাধা বিপত্তি ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

/আরএ

Comments