ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে ইতালি প্রবাসীর আর্তনাদ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১:২১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০১৯ মোল্লা মনিরুজ্জামান মনির,ইতালী প্রতিনিধি: ‘আমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই…আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নিঃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে’ নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর আর্তনাদে উপস্থিত সকলেই ছিল শোকে কাতর। রাজধানী রোমের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত ফেনীর দাগনভূইয়ার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর বর্ণনা দিয়ে এভাবেই বিচার না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইটালীর সাধারণ সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন। আলোচনা সভার অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, ইতালি যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুুল কিটন, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি রোমের প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা। ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারী সৌদি প্রবাসী নিহত ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীর ৯ বছর পর দেশে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যায়। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ করলে (সাইফুল, হিরু, বাহাদুর, পারভেজ,দিদার) এই সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মম ভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। নিহতের বড় ভাই আরো বলেন, ফেনীর এই দাগনভূইয়াতে তারা একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের পরিবার হিসাবে সুপরিচিত। আওয়ামী লীগের জন্য তার দাদা ও বাবারা ছিলেন অন্তঃপ্রান। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান হয়েও নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই নিশংস ঘটনার সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হলেও কারো ইশারায় তারা আজো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে এই পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ্য করেন তিনি। নাজিমুদ্দিন বলেন, এই পরিবারের একটিমাত্র চাওয়া তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক প্রদান করা হোক। এবং সারা বিশ্বের ১ কোটি ৩০ লক্ষ্য প্রবাসী রয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধান ন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল এই নিশংস ও নির্মম ঘটনা শুনে বলেন, সন্ত্রাসীরা কখনো কোন দলের হতে পারে না। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সন্ত্রাসীর হাত যতো বড়ো হোক না কেন আইনের হাতের চেয়ে তা কখনোই বড়ো নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তার করণীয় যা কিছু আছে তা করবেন এবং আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীও তিনি করেন। ইতালি যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল কিটন বলেন, এই ধরনের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। অতিদ্রুত এই নিশংস হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান। /এসএস Comments SHARES প্রবাস বিষয়: